পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“কল্যাণীয়াসু তোমার ছোটো গল্পগুলি পড়ে আমার খুব ভালো লাগল। কী মানবচরিত্রের কী তার পারিপাশ্বিকের চিত্র সুস্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশের ছোটো বড়ো নানা গ্রামে পল্লীতে তুমি ভ্রমণ করেছ, সেই উপলক্ষে তোমার দৃষ্টি শক্তি তোমার অভিজ্ঞতাকে বিচিত্র করে তুলেছে, তোমার গল্পগুলি সেই অভিজ্ঞতার চিত্র প্রদর্শনী। তোমার গল্পগুলির মধ্যে সাহিত্যিক গুণপনা বিশেষভাবে ফুটেছে তাদের সম্বন্ধে আমার এই মন্তব্য। ইতি ৮ই চৈত্র ১৩ ৪ ৫”। দ্র, ‘দেহলি’ প্রথম সংস্করণ, আশ্বিন, ১৩৪৬) তার ‘জ্যোতিঃ’ কাব্যগ্রন্থে কবিতা ও গান সংকলিত হয়। এই জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্বশুর মহাশয়, পূজনীয় শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্বশুর মহাশয় ও প্রসিদ্ধ গায়ক শ্রীযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ইহার কয়েকটি গানে সুরসংযোগ ও স্বরলিপি করিয়া দিয়াছেন।...” (দ্র, ‘জ্যোতিঃ', (ভূমিকা— গ্রন্থকত্ৰী) শান্তিনিকেতনের আশ্রমে বালকগণের কাছে তিনি ‘বড়মা’ নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি পুরীতে বসন্তকুমারী বিধবা আশ্রমে শেষজীবন অতিবাহিত করেন। পত্র-২০ ১ ১৯৩৫ জানুয়ারি, সজনীকান্ত ‘বঙ্গশ্রী সম্পাদনার কাজে ইস্তফা দেবার পরে, পুরাতন নথিপত্র ও সাময়িক পত্রপত্রিকা নিয়ে গবেষণার কাজ শুরু করেছিলেন। সঙ্গী হিসেবে ছিলেন ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সময়ে রবীন্দ্রনাথের বেনামী রচনাগুলির একটি সুষ্ঠ পঞ্জী তিনি প্রস্তুত করেছিলেন। তৎকালীন ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’, ‘ভারতী’, ‘সাধনা', ‘ভাণ্ডার’, ‘বঙ্গদর্শন প্রভৃতি পত্রিকাতে অনেক রচনাই ‘নামহীন ও কল্পিত নামাঙ্কিত ছিল। তন্মধ্যে যে-সমস্ত রচনাগুলিকে সজনীকান্ত নিজের জ্ঞান ও বৃদ্ধিবলে রবীন্দ্রনাথের রচনা বলে চিহ্নিত করেছিলেন সেই সমস্ত অনুমেয় রচনাগুলির সঠিক নির্ধারণ করবার জন্যে כי ט\ צ > ふ || > >