পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অক্টোবরের গোড়ার দিকে তিনি রবীন্দ্রনাথকে মংপুতে একটি পত্ৰযোগে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ২ মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি সমিতির উদ্যোগে বিদ্যাসাগর স্মৃতি সৌধের নির্মাণকার্য প্রায় সমাপ্তির পথে। সমিতির কর্তাদের ঐকান্তিক বাসনা উক্ত মন্দিরের দ্বারোদঘাটন যেন রবীন্দ্রনাথ করেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সজনীকান্তের হৃদ্যতার কথা বহির্জগতে গোপন ছিল না। অতএব উক্ত সমিতির কর্তারা এইসূত্রে সজনীকান্তকে কবির কাছে দূত হিসেবে প্রেরণ করেন। পত্র-২১ ১ আচার্য আনন্দচন্দ্র বেদান্তবাগীশ, ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’র সম্পাদক ছিলেন ১৮৬২-৬৩ পর্যন্ত। তিনি পুনরায় যুগ্মভাবে অযোধ্যানাথ পাকড়াশীর সঙ্গে পত্রিকাটির সম্পাদনা করেন ১৮৭১-৭২ । (দ্র, ‘রবীন্দ্রজীবনী’-৪, পৃ. ৩২২) রবীন্দ্রনাথের ‘ভারতবর্ষীয় জ্যোতিষ শাস্ত্র [?] শীর্ষক সুদীর্ঘ প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়, ১৮৭৩ সালে মে-জুন মাসে অর্থাৎ ১৭৯৫ শকাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসের ‘তত্ত্ববোধিনী-পত্রিকা’র পরবর্তী ছয় সংখ্যা ধরে। সেই সময় দেখা যাচ্ছে ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’র সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন অযোধ্যানাথ পাকড়াশী। তার সম্পাদনার কাল ১৮৭২-৭৮। প্রসঙ্গত এই রচনাটি সম্বন্ধে দ্বিমত আছে এবং রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং এবিষয়ে চিঠিতে সংশয় প্রকাশ করেছেন। ২ ‘ভারতী’ পত্রিকার প্রথম বছরে অর্থাৎ ১২৮৪ বঙ্গাব্দে অগ্রহায়ণ সংখ্যায়, পৃ. ২০০-০৬ ; রবীন্দ্রনাথের বাল্য বয়সের রচনা ‘ঝানসীর রাণী’ শীর্ষক প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়। ১৯৫৭, মে (১৩৬৪ বঙ্গাব্দে ২৫ বৈশাখ) বিশ্বভারতী এই প্রবন্ধটি পুস্তিকাকারে প্রকাশ করেন। পরে ১৩৬২, ২২ শ্রাবণ প্রকাশিত ‘ইতিহাস গ্রন্থে প্রবন্ধটি সংকলিত হয়। (দ্র, ‘রবীন্দ্রনাথ ; জীবন ও সাহিত্য’, পৃ. ২৩২) “ঝানসীর রাণী রচনাটি ‘ভ’ স্বাক্ষরযুক্ত, যেটি রবীন্দ্রনাথের পরিচয়বাহী। তা ছাড়া মালতী পুথি-র 32/১৭ খ পৃষ্ঠায় ‘ঝাসী রাণী’ > ૭૨