পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখেছেন—“লোকেন পালিত ছিলেন কবির আবাল্য বন্ধু। প্রথমবার বিলাতে তাহার সহিত যে পরিচয় হয় তা লোকেনের অকাল-মৃত্যুকাল পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন ছিল। তিনি ছিলেন রবীন্দ্র-সাহিত্যের ভক্ত ও সমঝদার। ১৮৮৬ সালে তিনি সিবিল সার্ভিস পাশ করিয়া দেশে ফিরিয়াছিলেন।’ (দ্র, রবীন্দ্রজীবনী-১, পৃ. ২১৪-১৭) বোম্বাই থেকে রবীন্দ্রনাথ ২০ সেপ্টেম্বর ১৮৭৮ সালে প্রথম বার বিলাত অভিমুখে যাত্রা করেন। (দ্র. রবিজীবনী-২ . S 8) ‘সাধনা পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সাহিত্যতত্ত্ব বিষয়ে যে বিতর্কের ঝড় লোকেন্দ্রনাথ তুলেছিলেন তাতে তার চিন্তার ও দৃষ্টিভঙ্গির মৌলিকতা প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ও লোকেন্দ্রনাথের পত্রাকারে লিখিত প্রবন্ধগুলি ‘ভারতী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সজনীকান্ত ২৯ নবেম্বর ১৯৩৯ রবীন্দ্রনাথের কাছে পত্র যোগে জানতে চেয়েছিলেন—“মানসী’র ভূমিকায় ‘শেষ উপহার কবিতাটি যে ইংরেজি কবিতার ইঙ্গিতে রচিত, তার রচয়িতা কে?। (দ্র, সজনীকান্তের পত্র-১৩) রবীন্দ্রনাথের উত্তর ছিল লোকেন পালিত। কিন্তু মূল কবিতাটির সন্ধান পাওয়া যায় নি। পত্র-২৮ বঙ্কিম রচনাবলী’ (বঙ্কিম জন্মশতবার্ষিকী সংস্করণ) সম্বন্ধে দু-এক ছত্র লিখে দেবার জন্যে, ২৯ নবেম্বর ১৯৩৯ তারিখে সজনীকান্ত পত্ৰযোগে রবীন্দ্রনাথকে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানিয়েছিলেন। রচনাবলী প্রচারের সুবিধার্থে কবির অভিমতটি “সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকায় এবং সেইসঙ্গে দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশ করবার অভিপ্রায়, কবির কাছে জানিয়েছিলেন সজনীকান্ত। (দ্র, সজনীকান্তের পত্র-১৩) ১ ডিসেম্বর ১৯৩৯, তারিখে রবীন্দ্রনাথ তার অভিমতটি লিখে পাঠিয়েছিলেন।