পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\98 ২ এপ্রিল ১৯৩৪ હૈં শান্তিনিকেতন কল্যাণীয়েযু অমিয়, তোমার কথা বারবার মনে পড়ে। তুমি আমাকে যেমন ঘনিষ্ঠভাবে জেনেছিলে পেয়েছিলে, এমন কারো পক্ষে সম্ভবপর নয়, এইজন্যে আমি তোমার পরে সম্পূর্ণ নির্ভর করতে পেরেছি। এরকম সঙ্গ আমি আর কারো কাছ থেকে আশা করি নে। সৌভাগ্যক্রমে অক্সফোর্ডে তুমি প্রবেশ করতে পেরেছ, সেখানে কৃতিত্বলাভ করতে পারবে তাতে আমার সন্দেহ নেই। তোমার এই অভিজ্ঞতা তোমার জীবনকে মূল্যবান কোরে তুলবে মনে কোরে খুশি আছি। আমার চিত্তের ধারা বাইরে তার বেগ ক্রমশই হারাচ্চে বোধ করি এখন তার অন্তঃশীল হবার সময় হোয়ে এল । লোকচক্ষুর গোচরে অনেক দিন কেটে গেছে, এখন আস্তে আস্তে আলো নিবিয়ে নেপথ্যে যাবার সময় হোলো এই কথাটাকে সহজ মনে স্বীকার করা উচিত। মহাভারতে আছে অভিমন্য বৃহে প্রবেশ করতেই জানতেন বেরোবার বিদ্যা র্তার জানা ছিল না— আধুনিক কালের মানুষ আমরা, জীবনসংগ্রামে বৃহ থেকে বেরোবার রাস্তাটা শিখি নি। আমার মনের অবস্থা যাই হোক বাইরে এখনো পথ খোলসা হয় নি। এখানকার সব খবর হৈমন্তীর কাছ থেকে পাচ্চ > e &