পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার নিজের খবর এই যে সমস্ত খবর সংক্ষেপ করবার জন্তেই আমার মন উৎকষ্ঠিত হয়ে আছে। তুমি আমার সৰ্ব্বাস্তঃকরণের আশীৰ্ব্বাদ জেনো । ইতি ২ এপ্রেল ১৯৩৪ স্নেহানুরক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৫ এপ্রিল ১৯৩৪ \ર્ક শান্তিনিকেতন কল্যাণীয়েষ্ণু এইমাত্র তোমার চিঠি পেলুম।. য়ুরোপে তুমি বরাবরকার মতো স্থিতিলাভ করতে চাও, অন্তরে বাহিরে হয়তো বাধা পাবে না। যেখানে না পাওয়া যায় সেইখানেই আমাদের যথার্থ দেশ। আমি নিজেও এই সংকল্প অনেকবার মনে এনেছি। য়ুরোপে মানবমনের সংঘাতে মনের নিগুঢ় শক্তি চরম পূর্ণতায় উদ্বোধিত হয় তাও আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই জানি। তবু অনেকখানি বাকি থাকে, সেটা হচ্ছে অন্তরতম সম্বন্ধ, তাকে বিশ্লেষণ করে জানাতে পারিনে। অসংখ্য সূক্ষ্ম স্নায়ুর সমাবেশে তার বহুধা বেদনা আমার সমস্ত মনকে জড়িয়ে রেখেছে— জন্মপুর্বের স্মৃতি আছে তার মধ্যে, আমার দৃষ্টিতে আমার শ্রুতিতে, অামার চিন্তায় আমার আকাজক্ষায় জীবনের বহুতন্ত্রবিশিষ্ট × ov)