পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না হলে তার অন্নবস্ত্রের কমতি ঘটবে, রাষ্ট্রীয় প্রতাপের প্রথম শ্রেণী থেকে তাকে নিচে নামতেই হবে। এতবড়ো ত্যাগস্বীকার করতে তাকে যে বলব সে কিসের দোহাই দিয়ে ? সভ্যতার দোহাই ? কিন্তু একটা কথা স্বীকার করতেই হবে যে, মানুষের যে সভ্যতার রূপ আমাদের সামনে বৰ্ত্তমান সে সভ্যতা মানুষখাদক । তার একদল victim চাই-ই যারা তার খাদ্য, যারা তার বাহন। তার ঐশ্বৰ্য্য, তার আরাম, এমন কি তার কালচার উপরে মাথা তোলে নিম্নতলস্থ মানুষের পিঠের উপর চড়ে। এই নিয়েই যুরোপে আজ শ্রেণীগত বিপ্লবের লক্ষণ প্রবল হয়ে উঠেছে। লোভ প্রবৃত্তিটা সৰ্ব্বব্যাপী হতে পারে কিন্তু লোভের ক্ষেত্র এবং সেই ক্ষেত্রের অধিকারীকে স্বল্পপরিমিত হতেই হবে। যে কোনো কারণবশতই হোক যার জোর অাছে সে সেই ক্ষেত্রকে নিজে অধিকার ক’রে অন্তের উপর প্রভুত্ব করে। এমন অবস্থায় জোরের সঙ্গে জোরের সমানে সমানে লড়াই চলে, কিন্তু সেখানে ডিপ্লমাসির চাল চেলে নানা আকারের রফানিস্পত্তি হতে থাকে। কিন্তু যেখানে একপক্ষের জোর অাছে অন্তপক্ষের জোর নেই সেখানে নিৰ্ব্বল পক্ষ আপনার প্রাণ দিয়ে অপরকে পোষণ করবার কাজে লাগে। যতক্ষণ লোভ রিপু এই বর্তমান সভ্যতার ও স্বাজাত্যের অন্তনিহিত শক্তিরূপে কাজ করে ততক্ষণ এর থেকে বলহীনের নিস্কৃতি নেই ; কেননা, যে দুর্বল এই সভ্যতা তারই প্যারাসাইট। অতএব প্রবলের হাত থেকে যখন দানপত্র আসবে তখন তা অত্যন্তই white S 8\ල