পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

paper হয়ে আসবে, তাতে রক্তের লেশ থাকবে না ; সেই পাতে যে উচ্ছিষ্ট আমাদের ভোগে পড়বে সেটা হবে কাটাচচ্চড়ি, তাতে মাছের গন্ধ থাকবে মাত্র খাদ্যবস্তু অতি অল্পই থাকবে । লোভী মনিবের পাত থেকে সেই মোটা মাছের ভাগ নিয়ে কাড়াকাড়ি করব কিসের জোরে ? কেবলমাত্র পেটভরার চেয়ে বেশি জোগান তার যদি না থাকে তবে সেটাতে তার ঐশ্বৰ্য্যের পরিচয় দেবে না ; তার যে সভ্যতা প্রাচুর্য্য-অভিমানী তারও দাবী তো মেটাতে হবে। কী দিয়ে ? যে দুৰ্ব্বল তারই ক্ষুধার অন্ন দিয়ে। এই ক্ষুধা ভারতবর্ষের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্য্যন্ত কতবড়ো চিরতুর্ভিক্ষের আসন পেতে আছে তা কি জানো না ? এর অৰ্দ্ধেকের অৰ্দ্ধেক অনটনও যখন ওদের ভাগ্যে দৈবাৎ ঘটে তখন ওরা কী রকম ব্যাকুল হয়ে ওঠে তাও তো আমরা দেখেছি। এই পেটুক সভ্যতা-সমস্যার ন্যায়সঙ্গত সমাধান হবে কী করে ? অধিকাংশ মানুষকে স্বল্পসংখ্যক মানুষের উদেশে নিজেকে কি চিরকালই উৎসর্গ করতে হবে ? শুধু তাদের প্রাণরক্ষার জন্তে নয়, তাদের মানরক্ষার জন্তে, তাদের অতিরিক্তের তহবিলকে স্ফীত রাখবার জন্ত্যে ! এই যদি অপরিহার্য্য হয় তবে লর্ড চার্চহিলের জবাব দেব কী ? এই সমস্যা তো সবলের সামনে নেই। তাদের সমস্যা বলের সঙ্গে বলের প্রতিযোগিতা নিয়ে। এই প্রতিযোগিতা আজকাল সাংঘাতিক হয়ে উঠেচে। সম্প্রতি এর প্রকাণ্ড আঘাতে ওদের দেহগ্রন্থি শিথিল হয়ে আছে, আরো আঘাতের আশঙ্কা চারদিকেই উদ্যত। এমন অবস্থায় S 88