পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাহাত্ম্যহীন ধূলিনত জীবনের রঙ্গভূমি, ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেখলুম আমাদের যুরোপের প্রভু সেই আমাদের ভাবীকালের পথরোধ করে দাড়িয়ে । অল্পকিছু সম্বল নিয়ে অভুক্তপ্রাণের ছোটোখাটো প্রয়োজন, জীর্ণ আসবাব, উপস্থিত মুহূৰ্ত্তের ক্ষুদ্র দাবীর উপর বহুকোটি মানুষ প্রতিদিনের মাথা গোজবার পাতার কুঁড়ে বাধচে, তাতে বৃষ্টির জল রৌদ্রের তাপ নিবারণ হয় না। ধনী পথিক কটাক্ষে চেয়ে চলে যায় আর ভাবে এই এদের যথেষ্ট, কেননা ওরা আমাদের থেকে অনেক তফাৎ— আমরাও ভাবি এই আমাদের বিধিলিপি। বুঝতে পারি ওর যে-গ্রহের আমরা সে গ্রহের নই। যখন এ কথাটা সম্পূর্ণ বুঝি তখন সমুদ্রের ওপারের খ্যাতিপ্রতিপত্তির জন্তে অামার আকাজক্ষা একেবারেই চলে যায়। এও মন বলে, ওদের ভাষা, ওদের প্রকাশের পদ্ধতি, ওদের ভালোমন্দর বোধসম্বন্ধে সম্পূর্ণ ধারণা আমার পক্ষে অসম্ভব। অতএব তার মধ্যে অনধিকার প্রবেশের চেষ্টায় শুধু ব্যর্থতা নয়, অমৰ্য্যাদাও আছে । যেখানে আমার আপন অধিকার নিঃসংশয় সেইখানে ওদের থেকে দূরে থাকাই ভালো – সম্প্রতি আমার তর্জমাগুলো পড়ে কথাটা মনে আরো সুস্পষ্ট হোলো। এ তো আমার লেখা নয় । নিজের এ পরিচয় কেনই বা দিতে যাওয়া— এ তো নিজেকে ব্যঙ্গ করা। যত পারে কবিতাগুলো ছেটে ছুটে বাদ দিতে দিয়ো – একবার গলদ করেছি বলেই তার সংশোধনের অধিকার আমার নেই এ কথা মানতে পারি নে। আপন পরিচয়ের জন্তে তাগিদই বা কিসের ? যখন S 8%