পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Նց օ ১১ জুলাই ১৯৩৫ હૈં কল্যাণীয়েযু চার অধ্যায়ের তর্জমা রওনা হয়ে গেছে । এতদিনে পেয়ে থাকবে। ওটা মূলের সঙ্গে মিলিয়ে করা। অপ্রিয় কথা হয়তো থাকতে পারে। সেজন্যে ও বইটা যদি ওখানকার পাঠকদের পথ্য না হয় তাহলে তোমার বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করে বইটা বন্ধ করে দিয়ে। মূল বাংলাটা যখন বেরিয়েছে তখন তর্জমা না বেরলেও ক্ষতি নেই। বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খ্যাতির জন্যে রুচি চলে গেছে। যে বইগুলো পূর্বেই বেরিয়ে গেছে সেইগুলোকে ছেটেছুটে যথাসম্ভব চলনসই করলেই আমি নিশ্চিন্ত হই। বস্তুত আমার দায়িত্ব বাংলা লেখাগুলো নিয়ে । মনে বিশ্বাস আছে ওর অন্তত অনেকটা অংশ টেকসই হয়েছে। যারা বাংলা ভাষার সাধনা করবে এ তাদের জন্যেই রইল। আমার দেশেও চার অধ্যায়ের প্রতি অনেক পাঠক প্রসন্ন নয়। দেখতে পাচ্চি সাহিত্যের সঙ্গে চাটুবাক্য না মেশালে রসসম্ভোগে বাধা হয়। এই চাটুভাষণ বৰ্ত্তমান কালের উদ্দেশে । ভাবীকালে তার প্রয়োজন চলে গেলে সাহিত্যের বিচার বিশুদ্ধ হতে পারবে । সেদিন Ernest Rhysএর কাছ থেকে একখানি চিঠি পেয়েছি। ভালো লাগল। গীতাঞ্জলির সত্যযুগে ওঁর সঙ্গে আমার অকৃত্রিম বন্ধুত্ব হয়েছিল। ওঁর স্ত্রী খুব সহৃদয় এবং রসজ্ঞ Σ Σ Ι Σ Σ >ぐう>