পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীলোক ছিলেন। গোলডর্স গ্রীনে ওঁদের বাড়ি ছিল, পিছনের ছোটো আঙিনায় ছিল গোলাপের ক্ষেত— কতদিন অপরাষ্ট্রের পড়ন্ত রোদে সেখানে ছায়ায় বসে চ খেয়েছি গল্প করেছি। ড্রয়িংরুমের কোণে একটি কেদারা ছিল, সেইটেতে আমারি যেন বিশেষ স্বত্ব জন্মে গিয়েছিল। রিজ খুব কাজে ব্যস্ত লোক, অথচ যখনি আমার কোনো প্রয়োজন হোত ওঁকে ডেকে পাঠালেই কাজ কামাই করে গোল্ডর্স গ্রীন থেকে কেন্সিঙটনে এসে উপস্থিত হতেন— ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওঁকে নিয়ে কাটিয়েছি। ওঁদের দুজনের মধ্যে যথার্থ একটি কবিত্বের রস ছিল । আমার কোনো লেখা নিয়ে যখন ওঁর পরামর্শ নিতুম শব্দের বাছাই নিয়ে অত্যন্ত খুটিনাটি করতেন— আমার অনেক শিক্ষা হয়েছিল । আমার কাব্যসঞ্চয়নের কথা ওঁকে লিখেছি। আমার বিশ্বাস তুমি যদি ওঁর পরামর্শ নাও তবে উনি যথেষ্ট যত্ন করে বিচার করবেন। যাই হোক চয়ন সম্বন্ধে ইদানীং তোমার কাছ থেকে কোনো খবর পাইনি। যদি এমন হয় তুমি নিতান্ত ব্যস্ত থাকে সময় না পাও তাহলে রীজের মত লোকের উপর ভার দিলে নিশ্চিন্ত হতে পারবে । রখী বোমা কাল ফিরে এসেছেন– শরীরও দেখলুম ভালো, মনটাও আশান্বিত । ওখানে বন্ধুমণ্ডলীতে তোমার প্রতিষ্ঠা দেখে ওঁরা খুব খুসি হয়েছেন। যে দেশে গেছ সে দেশের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করতে না পারলে নিজের দেশেরই প্রতি অন্যায় করা হয়। আমাদের নব্যযুবকেরা অনেকে তার উল্টো পথে চলেন। ওদের প্রতি অপ্রিয়তা ও অসৌজন্তকে তারা পৌরুষ 있