পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তা ভোগ করবার শক্তিও আমার আছে ; লোকের মুখের কথার জন্যে ঘুর খেয়ে বেড়ানোর মতো বিড়ম্বন আর কিছুই নেই। এই শূন্ত মরীচিকার রাজ্য থেকে বিদায় নেবার সময় আমার আসন্ন হয়ে এসেছে, তাই রোজই ভাবি এর থেকে মন সরিয়ে নিয়ে এবার পাত্র ভরে নিই আনন্দের চিরউৎসধারা থেকে। মনকে সম্পূর্ণ ছাড়িয়ে নেওয়া কঠিন, কিন্তু এই সাধনায় লেগে থাকাই দরকার । 尊 শেষ সপ্তক তো প্রকাশ হোলো— যাদের ভালো লেগেছে তাদের বিশেষ ভালো লেগেছে— আবার অনেকে এতে চিনির অংশ কম দেখে নিজেদের বঞ্চিত বোধ করচে। বোধ হয় তারা স্থির করেছে বয়সে বাড়চি রসে কমছি— হয়তো বা কথাটা সত্যি। এবার ছন্দে লেখা কবিতার বই বের করতে প্রবৃত্ত হয়েছি, নাম দিয়েছি বীথিক । জানিনে তাতে গুড়ের অংশ কী পরিমাণ আছে । এ বৎসর বর্ষ নিতান্তই ফাকি দিয়েছে। বর্ষামঙ্গল করে দেখি, দেবতা কবির আহবান মানেন কি না। ইতি ৪ আগষ্ট సె\లి(t তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর × V)((