পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هي اgا ১৩ জুলাই ১৯৩৬ હૈં শান্তিনিকেতন কল্যাণীয়েষ্ণু অনেকদিন পরে তোমার চিঠিখানি পেয়ে খুব খুসি হয়েছি। আমিও বারবার তোমাকে চিঠি লিখি-লিখি করেছি। কিন্তু প্রাণ যখন সচল ছিল তখন সে আপনার বোঝা আপনিই বয়েছে, এখন সে স্থাবর হয়ে পড়াতে ছিয়াত্তর বছরের আয়ুর ভারে মন্থর মনটাকে কোনো কাজে চেতিয়ে তোলা বড়ো শক্ত হয়ে পড়েছে। মানুষের সঙ্গে ব্যবহারে স্থাণু হয়ে থাকা তো চলে না, সেইজন্যে আজকাল প্রকৃতির সাহচৰ্য্য আমার পক্ষে সহজ হয়ে এসেছে । উভয় পক্ষেই পরস্পরের কাছে কোনো দাবীদাওয়া নেই। আর একটা আনন্দ পাই বড়ো বড়ো গাছগুলোর মধ্যে । ওদের জীবনলীলায় বয়স যেন থেমে আছে, ওরা প্রাচীন নবীন একসঙ্গেই— বয়সের ক্লান্তি ওদের একটুও নেই। ঐ শাল গাছ পঞ্চাশ বছর আগে যে অম্লান ফুল ফুটিয়েছিল আজও ঠিক সেই ফুলই ফোটাচ্চে কিন্তু ক্ষণিকায় আমি ত্ৰিশবছর বয়সে যে কবিতা লিখেছি, আজ আমি সে কবিতা লিখিনে। আমার কবিতার ভিতর দিয়েই কুষ্ঠির গণনা করা যেতে পারে, তার মধ্যেই রয়ে গেছে বয়সের হিসাব । আকাশের উপর দিয়ে যে দিনরাত্রি আসে যায় কালিদাসের যুগ থেকে আজ পর্য্যন্ত তাদের ছায়া আলোর সম্পদ একই, অথচ ৭০ বছরের মধ্যেই তারা আমার দেহমনকে >bペ