পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tyసి ২৮ জুলাই ১৯৩৬ [ শান্তিনিকেতন ] কল্যাণীয়েষ্ণু o অনেকদিন থেকে তোমার চিঠি পাই নি, বোধ করি ডিগ্রিপরীক্ষার প্রবন্ধ রচনা নিয়ে ব্যস্ত আছ । আমিও দীর্ঘকাল তোমাকে চিঠি লিখি নি। সম্প্রতি লেখবার একটা তাগিদ এল ভিতর থেকে । মনটাকে খোলসা করবার প্রয়োজনে । তুমি সমুদ্রের ওপারে আছ, বাদবিবাদের চক্রবাত্যা থেকে দূরে, সেইজন্তে তোমার সঙ্গে আলাপ করা আমার পক্ষে সহজ । তুমি আমাকে ভালো ক’রে জানো সেও একটা সুবিধা। ভারতশাসনযন্ত্রের কিছু অংশ আমাদের দান করা হোলো ব’লে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য দাক্ষিণ্যগৌরব অনুভব করছে। আমাদের দেশে রাষ্ট্রতত্ত্ববিচারে র্যারা অধিকারী তারা বলছেন দান ক’রেও যতদূর সম্ভব দান না-করার নৈপুণ্য এর মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। এমন কি তাদের মধ্যে কেউ কেউ এমন কথাও বলছেন এই পোলিটিকাল কানামামার চেয়ে নেই-মামাও ভালো ছিল। এই তর্কে এ পর্য্যন্ত আমি বেশি মন দিই নি কারণ ইংরেজিতে একটা প্রবাদ অাছে দানে পাওয়া ঘোড়ার দাত গুণতে নেই। যেটাতে আমার মনকে পীড়া দিয়েছে। সেটা হচ্চে এই যে, এই দানের অঞ্জলিতে বাংলাদেশের ভাগ্যে যে কুপথ্য মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে তার ক্রিয়া চলবে চিরকাল ধ’রে। রাত্ত্বিকক্ষেত্রে বাংলাদেশে দ্বন্দ্ববিরোধের এমন একটা >レア@