পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সরমের কিছু জায়গা থাকে। কেননা ওঁদের জাতের মধ্যে র্যারা যথার্থ বড়ো এবং সেই কারণে র্যারা তার প্রতিনিধি র্তাদের কাছে জবাবদিহি আছে। এই হেতু রাজপুরুষেরা জোর ক’রে বলতে পারে না আমাদের যা খুসি তাই করব। অনায়াসে বলতে পারত নবাবরা বাদশার, সুযোগ পেলে আমাদের উপরাজারাও, পর্দার আড়ালে অন্ধকারে বলতে চেষ্টা করেছে আমাদের অনেক জমিদারও, এবং আজ বলতে পারে য়ুরোপের অধিকাংশ কড়া কড়া জাতি। সেইজন্তে আন্দামানের স্ত্রীবিরল নারকীয়তাকে আমরা যখন দণ্ডধারীদের মুখের সামনে নিন্দ করি তখন আমাদের মতো দুৰ্ব্বল জাতেরও মুখের সামনে ওরা জোর গলায় বলতে পারে না যে যারা দণ্ডনীয় তাদের নরকেই পাঠাতে চাই। যথাসম্ভব সাধুতার সুরে ওদের বলতে হয় আন্দামান শান্তিধাম না হোক স্বৰ্গীয় শান্তিধাম বটেই। ইংরেজের মধ্যে মনুষ্যত্বের যে আদর্শ আছে কাৰ্য্যগতিকে সেই আদর্শ থেকে যারা ভ্ৰষ্ট হয় তারাও বাহুবলের স্পৰ্দ্ধায় সেই আদর্শের প্রকাশু অবমাননা করতে পারে না। যদি পারত তা হোলে কোন্সিলের ক’জন স্পষ্ট বক্তা আন্দামান স্বৰ্গলোকের বাইরে স্থান পেত ? ইংরেজের মধ্যে র্যারা মহৎ তাদের অনেককে আমি দেখেছি। তারা স্বজাতিকৃত বা পরাজাতিকৃত অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে কুষ্ঠিত হন না। তারা হয়তো রাষ্ট্রনীতিক নন কিন্তু র্যার রাষ্ট্রনীতিক তারা কী জাপানে কী যুরোপে সমগ্র জাতির যথার্থ প্রতিনিধি ব’লে গণ্য হোতে পারেন না। ইংলণ্ডে রাষ্ট্রচালকেরা যদি তাদের দেশের মহত্তর দলের বিচার Σ δΣ