পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেড়ে ওঠে "দেবভক্তি ছাড়িয়ে গিয়ে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ নিজের দেবতারই অবমাননা করে । যে কোনো কিছুতে এই বিদ্বেষকে নিরন্তর ও প্রবল ক’রে তোলে বর্বর্বরতার স্বষ্টি হয় তাতেই । আমি তো ছিয়াত্তরে পা দিয়েছি । আমার এই দীর্ঘকালের কেবল শেষ কয়েক বৎসরই সাম্প্রদায়িক দুৰ্ব্বদ্ধির আকস্মিক উত্তেজনা অমানুষিক বীভৎসতার আকারে প্রবল হয়েছে দেখতে পাই । লজ্জা সকলেরই পক্ষে, এবং বিপদ সমস্ত দেশের । এই বিপদের মারাত্মক শিকড় নানাদিকেই প্রসারিত হবার উপক্রম করেছে। অামি সাহিত্যিক, আমাদের ভাষা ও সাহিত্যের কথা উল্লেখ করলেম, অন্য সকল কথা বলতে ধিক্কার বোধ হয়। তাই মনুষ্যত্বের পক্ষ সমর্থন করবার জন্তেই পোলিটিকাল সভায় উপস্থিত হয়েছি। ইচ্ছা ছিল না কিন্তু বেদনায় আমাকে থাকতে দেয় নি । আমার দেশের লোক কেউ কেউ বিরক্ত হয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করেন ইংরেজজাতির প্রতি তোমার শ্রদ্ধা যদি এতই তবে ভারতে ইংরেজশাসনের চিরন্তনত কামনা করো না কেন ? আমার উত্তর এই, ইম্পীরিয়ালিজমের বিরাট জালে জড়িত বিদেশী রাজ্যশাসন ভারতের পক্ষে স্বভাবতই অশুভকর। এম্পায়ার বলতে যদি এক অখণ্ড কলেবর বোঝাত তা হলে তত বেশি ভাবনার কারণ থাকত না । গোয়ালঘর গয়লার এক গৃহস্থালিতে থাকতে পারে কিন্তু গয়লার আত্মীয় পরিবারের সঙ্গে তার তুলনাই হতে পারে না। তার মূল্য প্রধানত দুধ জোগাবার, ভার বহন করবার। অত্যন্ত পীড়াতেও তার >>@