পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধাতাপুরুষের এত বড়ো আছরে ছেলে নই। পরের অনুকম্পার পরেই আমাদের পরিত্রাণ যদি নির্ভর করে তবে এই অনুকম্পালাভের জন্তেও শক্তির প্রয়োজন আছে। সেই শক্তির দ্বারা ভিক্ষার লাঘবতা অনেকটা দূর হয়। হুৰ্ব্বলের অহঙ্কার অত্যন্ত হেয়। সেই ক্লাব অহঙ্কার নিয়ে জোর গলায় আজকাল হুঙ্কার দিয়ে বলি, করব না ভিক্ষে, নিজের জোরেই দাবী সার্থক করব। ভালো কথা, কিন্তু হায় রে, জোড়ভাঙা সমাজে সেই নিজের জোরটা কোনখানে ? যত জোর আপনজনকে গালাগালি করতে, পরস্পরকে খৰ্ব্ব করতে, দলাদলির দ্বারা দলিত করতে দেশের ইষ্ট। যত জোর কেবল কি গলাতেই, যতক্ষণ না সেই গল বাহির থেকে প্রবলমুষ্টি এসে চেপে ধরে ? ইতি [ ২১-২৮৭৩৬ ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৮।৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭ উদভ্ৰান্ত সেই আদিম যুগ, স্রষ্টা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে নতুন স্থষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত, র্তার সেই অধৈৰ্য্যে ঘনঘন মাথা নাড়ার দিনে রুদ্র সমুদ্রের বাহু প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে, আফ্রিকা, Σ' δίσ'