পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্যাণীয়েষ্ণু তোমাকে ফুটে লেখা পাঠাই। একটা আমার কবিতার তর্জমা, ম্যাঞ্চেষ্টর গার্জিয়ানে পাঠিয়েছি, আর একটা আমার জাপানকে লেখা পত্র – এণ্ডজকে যে চিঠি লিখেছ দেখলুম। পাঞ্জাব-প্রবাস তোমার কাজে লাগবে। বিচিত্র অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করতে পারবে। বুদ্ধিমান বাংলার পরিচয় যথেষ্ট পেয়েছ— আর না হলেও চলবে – পাকা বুদ্ধির ঠেলায় জাতটাকে ফুটির মতো ফাটিয়ে তুলেছে, এইবার পচবার সময় এলো— সেই রঙই ধরেছে। এখানে কেউ কারো চেয়ে কম নয়, অথচ নিজেদের শ্রেষ্ঠতা যথার্থভাবে প্রমাণ করতে না পেরে সংসারে কেবলি হটে যাচ্চে, তাই গাজিয়ে উঠচে বাজিয়ে উঠচে কুৎসা গ্রানি, প্রতিহত অহঙ্কারের তীব্র জ্বালা। নিন্দার বাজারদর অত্যন্ত চড়ে গেছে । আমার মন সরে যেতে চাচ্চে সুদূরে— সেই দূরকে নিজের ভিতরেই স্থষ্টি করবার চেষ্টা করচি। একটা উপায় সায়ান্স— নক্ষত্ৰলোকের বিরাট দেশকালের মধ্যে তীর্থযাত্রা করেছি। যে বিশ্বজালে অচিন্তনীয় দূর নীহারিকার সঙ্গে একই আলোকসূত্রে বোনা আমার অস্তিত্ব, —আমার সমস্ত অন্তঃকরণকে ধরা দিয়েছি তার টানে, সে আমাকে নিয়ে চলেছে সেই অপরিসীম রহস্যের দিকে যার মধ্যে জীবন মরণের তাৎপর্য রয়েছে প্রচ্ছন্ন, সেই তাৎপর্যের মধ্যে ૨ ૦૭