পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রয়েছে কোনো একটা চিরন্তন অর্থ— যে অর্থ বহন করে চলেছে অসীমের অভিমুখে সমস্ত ব্ৰহ্মাণ্ড । ভিড় চলেছে আশ্রমে— ছুটির জন্যে মন ব্যাকুল । সেমন্তীকে কিছুকাল আগে একখানা চিঠি পাঠিয়েছিলুম। সেই চিঠিতে তার সঙ্গে ছবির পাল্লা দিয়েছি— এ প্রতিযোগিতায় আমার জিৎ হবার কোনো সম্ভাবনা নেই– তবু স্পৰ্দ্ধ করে চেষ্টা করেছি। সেমন্তীকে আমার আশীৰ্বাদ জানিয়ো— এবং হৈমন্তীকে । ইতি ৩।১২[১][১৯]৩৮ তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ከm © ২১ জানুয়ারি ১৯৩৮ હૈં কল্যাণীয়েষ্ণু তুমি তো জানো আমার মনের মধ্যে একটা যেন ষড়ঋতুর পর্যায় আছে, হাওয়া বদল হয় যখন, ফসল যায় বদলে । একটা সময় আসে যখন মনের উত্তরে হাওয়ার গতি থাকে বাইরের দিকে, সেদিকে আজ মৃত্যুর ছোয়াচ লেগেছে, পাতাঝরেপড়া বনস্পতির শাখায় শাখায় আৰ্ত্তস্বর জেগে উঠল। তা হোক, সেদিকের দিগন্ত দূর-প্রসারিত, তার ভাষার মধ্যে তরঙ্গিত সমুদ্রের কলকল্লোল। ক্ষণকালের জন্যে ভুলে যাই আমার তো মাঠের ধারে বাসা, তার মধ্যে দিয়ে পায়ে-হাটার ૨ o 8