পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসপানে প্রবৃত্ত আছি, আমার ক্ষণিকার প্রথম কবিতায় যার কথা লিখেছিলুম। দ্বারের সমুখে পাতাঝরা শিমুল গাছ ফুলে উঠেছে ভরে। মধুর লোভে ছোটো বড়ো নানাজাতের পাখী ভিড় করেছে। কিছুদিন পরে ফুল যাবে নিকেশ হয়ে, কচিপাতার পালা আসবে, মধুলোভীদের কাকলী নীরব হবে, তখন উঠবে ওর আপন পাতারই মর্মরধ্বনি । নিজের দিকে তাকিয়ে ভাবচি, দিনের পাওনা দিন আমাকে দিয়ে যাচ্চে, তার প্রয়াস নেই, তার বোঝা নেই, তার দাম নেই যেমন আমার বাগানের বাতাবীনেবুর গাছে যে রোদ ঝিলমিলিয়ে উঠচে তার কোনো দাম নেই। দাম পাওনার তাগিদে যদি পাড়ায় বেরোনো যেত, দিনের সীমা-পেরোনো সঞ্চয়ের পাক৷ খাতা নিয়ে পড়তে হোতে, তাহলে দিন হোতে মাটি । আজকাল গান তৈরি করচি, রিহর্সলে বসচি, এ গানের এ কাজের খুশিটুকু ক্ষণিকের মধ্যে পরিমিত, কাল কেউ এ সব মনে রাখবে না, কিন্তু আজ এর মধ্যে যে মধু আছে সে আজকের পক্ষে যথেষ্ট । ইতি ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৮ তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  • У e