পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানাবিধ প্রয়াস দিনের থেকে বাদ দিয়ে যখন আমি জানলায় বসে চেয়ে দেখি, বাইরের আমের গাছে বোল ধরেছে, শীতশেষের রৌদ্রে ঝিলমিল করচে সোনাঝুরির পাতা, গাছের ছায়ায় নাচচে শালিখ, বিনা কাজে বেলা বয়ে যাচ্চে, তখন বুঝি, এই আমার চীনভাষার কবিতা, এই আমার মহেঞ্জোদারোর হাজার বছর ডিঙিয়ে যাওয়া সহজজীবনের এমন একটি স্পষ্ট আভাস যা নূতন যুগের জীবনলীলার সঙ্গে অনায়াসে মিতালি করতে পারে। ২১২৩৮ তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর お " ১৪ এপ্রিল ১৯৩৮ હૈં কল্যাণীয়েষ্ণু প্রখর রৌদ্র, শরীর মন ক্লান্ত। কিছুদিন হোলো Aldous Huxleyর নতুন বইখানি পড়ে মন যেন হাফ ছেড়ে বাচল— আধুনিক যুগের চিত্তবিকৃতির ব্যঙ্গ মানুষের পূজার ঘরে যে রকম কুৎসিত উৎসাহের সঙ্গে কালাপাহাড়ি আরম্ভ করেছিল, তাতে ঘৃণা ধরিয়ে দিয়েছিল, ঐ বইটিতে নিত্যকালের হাওয়ায় মানুষের শাশ্বত সাধনার বাণীর স্পর্শ পাওয়া গেল । আমার জীবনের শেষপর্বে মানুষের ইতিহাসে এ কী মহামারীর বিভীষিকা দেখতে দেখতে প্রবল দ্রুতগতিতে ૨ S 8