পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার আগেই তোমরা আস এখানে একবার আসতে পারো ইহি ২৭৫৪৫ [ ১৯৩৮ ] তোমাদের ১৭ ] জুন ১৯৩৮ હૈં কল্যাণীয়েযু ধীরেন সবে এসেছে য়ুরোপ থেকে প্রাণের হাওয়া নিয়ে । অনেক সে ঘুরেছে প্রসারিত অভিজ্ঞতাক্ষেত্রে। তার সঙ্গে কথা কয়ে খুব ভালো লাগচে— প্রধান কারণ সে আধুনিকের নেশাগ্রস্ত নয়। তার কথার ভাবে বুঝলুম তার মতে বৈদগ্ধ্যের কুণোমহলে যাকে up to date নয় বলে ভ্র বঁাকায় সেটাই চিরকালের মতোই out of date । অনেক কমী এবং ভাবুকদের সঙ্গে তার আলাপ হয়ে সে এইটে বুঝেছে যে idealএর কেবল idiom বদলে দিয়ে তাকে নূতন উপলব্ধি বলে মনে করা যুরোপের উদারচিত্ত ত্যাগীদের কথা নয়। খুব একটা আশ্বাস মনে এসেছে। বিশেষত আজ যখন ব্যঙ্গের সুর সত্যকে অপদস্থ করবার চেষ্টা করচে যার থেকে সভ্যতার চিতার আগুন জলবার লক্ষণ দেখচি । আমাদের দেশে এর ছোয়াচ লেগেছে, বড়োর অভ্যর্থনায় ভঙ্গীবিকারকে তারা তারুণ্যের স্পৰ্দ্ধা বলে ঠিক করে রেখেচে । চরিত্রের ミ> "