পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> * > ২৮ ডিসেম্বর ১৯৩৮ હૈં কল্যাণীয়েষ্ণু ৭ই পৌষের পালা শেষ হোলো। স্তরে স্তরে আমার বকুনি চুকিয়ে দিয়েছি। এখন চলেছে দূরাগত জনতার জলপ্রপাত। ছুটির সুযোগে কৌতুহল মেটাতে আস্চে দলে দলে । আমি তাদের লক্ষ্যস্থল। এর মধ্যে আমার লেখাও চলেছে মাতৃভাষায় বিমাতৃভাষায় । দায়ে পড়ে। মায়ার খেলার রিহার্সাল আরম্ভ হয়েছে— তার পুরোনে জীর্ণ অংশগুলো মেরামত করতে হোলো-– প্রায় ২০টা নতুন গান লিখেছি। পুরোনো হাতের সঙ্গে নতুন হাতের বুনোনি মিলচে কি না জানি নে। এলমহল্ট এসেছে— লাগছে ভালো— এমন বন্ধু দুর্লভ। ওর সঙ্গে দেশবিদেশে অনেক দিনরাত্রি কাটিয়েছি— মনে পড়লে মন কেমন করে— nostalgiaর বাংলা কী ? একসঙ্গে ভ্রমণে বন্ধুত্বের সেতারে যেন স্থর বাধা হয়ে যায় – তোমার বই পেয়ে ফু চার পাতা পড়বার সময় পেয়েছি— বুঝেছি রীতিমত ভালো বই হয়েছে। এলমহল্ট পড়তে নিয়েছে তার পড়া হয়ে যাওয়ার অপেক্ষা করছি । ২৮১২।[১৯]৩৮ _ তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ૨૨ S