পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মতো কল্পনার তরীতে, কখনো এ বঁাকে কখনো ও বাকে, কিন্তু পুথিলোকের আইনের সীমানা থেকে দূরে। তাই নিয়ে তখনকার বিধানকর্তারা হেসেছে, কিন্তু তাদের সংখ্যাও ছিল অল্প, তাদের অট্টহাস্তোর জোরও ছিল কম। তখনকার সাহিত্যরাজ্যে রাজত্ব পদার্থটা ছিল খুব হাল্কা । একদল লোক পিঠ চাপড়ে বলেছে বাহবা, সেটা আকস্মিক, সেটা মুখ্য কথা নয়। সম্পূর্ণ আমার নিজের গরজে লিখচি, এই কথাটাকে কোনো বারোয়ারি বাহবা ছাড়িয়ে ওঠবার মতো জোর পায় নি— নিন্দেও ছিল নিতান্ত ভ্যালসা । জোর ফরমাস ছিল না, লেখার আনন্দ ছিল ডুবর্সাতারের আনন্দ– ডাঙা থেকে মুরুবিবর দল ঘন ঘন সাবাস বলে ওঠে নি। তার ফল হয়েছে কী এবং তার মূল্য কতখানি হয়তো এখনো তা নিশ্চিত বলবার সময় হয় নি। যেটা আমার ভালো লেগেছে সেটা নিশ্চিত ভালোই এই বিশ্বাসে জোরে সাবল মারবার কোনো ধাক্কা তখন ছিল না— এই আত্মপ্রত্যয় ছাড়া আর কোনো ধ্রুব অাদর্শ যে আছে এখনো তার প্রমাণ হয় নি । কেমন করে হবে ? আজ দেখতে পাচ্চি এ বেলায় র্যারা সমজদার সেজে আইন জারি করে বেড়াচ্চেন ও বেলায় তাদের তকমা কেড়ে নেওয়া হচ্চে। এটুকু বুঝেছি এই পুথিপাড়ার বাজারদর হিসেব করে যারা নতুন খাতা খুলে কারবার ফেদেছেন তাদের অদৃষ্ট চলেছে চোখে ঠুলি দিয়ে। এই শীতের দুপুর বেলায় সামনের জানলা খুলে মুকুলে ভরা ঐ আমবাগানের দিকে চেয়ে প্রায়ই ভাবি– জন্মেছি এই পৃথিবীতে, খুব খুশি ૨૨br