পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়েছি— প্রকাশ করেছি নিজেকে আপনা হতে নানাভাবে নানা ভঙ্গীতে, তাতে মশগুল করেছে— বাস এইখানেই থামা যাক— আর তো কিছু দরকার নেই— পালা তো শেষ হবেই— তারও পরেকার পালার হিসেব কল্পনা করতে বসে ভিতরকার একটা লোভী পাগল— তার সেই হিসেবের উপরে আজ আর আস্থা নেই। এতদিন যেমন যেমন খুশি হয়েছি সঙ্গে সঙ্গে মনে মনে সংস্কার জন্মেছে খুশি করবার জোগান বুঝি হাতে হাতে দিয়ে গেলুম। সেটা স্থায়ী সত্য না হবারই সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু কেই বা স্থায়ী, কীই বা স্থায়ী । অনিশ্চিত দখলের দাবী নিয়ে তবে এত তীব্র ঝগড়া কেন— রাগারাগি কী জন্যে, লোভই বা কিসের ? মরীচিকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে আদালতে নালিশ ? এই টলমলে অবস্থায় এখনো ছটাে পাকা ঠিকানা পেয়েছি আমার বানপ্রস্থের— গান আর ছবি । এদের উপরে বাজারের বস্তাবন্দীর ছাপ পড়েনি। যদিও আমার গান নিয়ে বচসার অন্ত নেই তবু সেটা আমার মনকে নাড়া লাগায় না। তার একটা কারণ সুরের সমগ্রতা নিয়ে কাটাছেড়া করা চলে না । মনের মধ্যে ওর প্রেরণা ব্যাখ্যার অতীত। রাগরাগিণীর বিশুদ্ধিতা নিয়ে যে সব যাচনদাররা গানের আঙ্গিক বিচার করেন কোনোদিন সেই সব গানের মহাজনদের ওস্তাদিকে আমি আমল দিই নি ; এ সম্বন্ধে জাতখোয়ানো কলঙ্ককে আমি অঙ্গের ভূষণ বলে মেনে নিয়েছি। কলার সকল বিভাগে আমি ব্রাত্য, বিশেষভাবে গানের বিভাগে । গানে আমার ミミみ。