পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গায়ে ছাপ লাগায় যে মানুষ ছাপ মোছেও সে। তার চেয়ে অখ্যাতির গৌরবে আছে সে ভালো— আমিই তাকে মাঝে মাঝে দিচ্চি বাহবা । এতক্ষণ যা বললুম একে সাইকলজির কোন ছাপে লাঞ্ছিত করবে জানিনে। হয় তো বলবে ভীত অহঙ্কারের বৈরাগ্য । অামাকে জিজ্ঞাসা করো অামি বলব এ জীবন আপন অভিজ্ঞতার প্রান্তসীমায় এসে আজ নতুন হতে চায়, সংশয়ের পুরাতন বলি-পড়া বাকল খসিয়ে ফেলতে তার শখ গিয়েছে— আসুক নববসন্ত, বাইরে নয়, অন্তরের গভীরে । ইতি ১৪।২৩৯ তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ט\ e כ ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯ \; কল্যাণীয়েৰু বিষম ব্যস্ততার ফঁাকে ফঁাকে কখনো শান্তিনিকেতনে কখনো কলকাতায় কখনো এ ঘরে কখনো ও ঘরে চিঠিখান। যখন তখন লিখেছি— এক নক্ষত্রের সঙ্গে অার এক নক্ষত্রের তফাতের সঙ্গেই তুলনীয়—তবুও সবটা মিলে নেবুলা গোছের হয়েছে। শরীর ক্লান্ত ছিল বলেই লিখেছি— ওকে একেবারে ডোন্ট কেয়ার করে দিয়ে। আজ তোমার চিঠি পেয়ে খুশি হলুম। পাতিয়ালার প্রস্তাবটা চিন্তনীয়। একটা কিছু করবার সংকল্প চলছে। ૨૭8