পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফেঁাস করে উঠেছে। মনে হচ্ছে আমি এক জায়গার লিখেছিলুম, Proud power tries to keep truth safe in its own exclusive hand with a grip that kills it । ডান হাত দিয়ে নেশনের স্বাধীনতার টু’টি চেপে ধরে বঁ হাত দিয়ে তাকে স্বাধীনতার ঢোক গিলিয়ে দেবার আশ্বাস দেওয়া কেবল ব্যক্তিবিশেষেরই অধিকারায়ত্ত এই সর্বনেশে মত দেশকে খোকা করে রাখবার উপায়। তুমি তো জানো আমাদের দেশে এক দল সন্ন্যাসী গাজা খেয়ে বুদ্ধিকে বিহবল করে, সেটা তাদের আধ্যাত্মিক সাধনার অঙ্গস্বরূপ। বুদ্ধিকে তারা বিশ্বাস করে না। ফাসিস্ট দলপতি দলের বুদ্ধির প্রতি একটুও বিশ্বাস রাখে না। আমাদের দেশে ব্রাহ্মণরা যখন শূদ্রদের একেশ্বর অধিনেতা ছিলেন তখন সর্বাগ্রে তাদের বুদ্ধিকে পায়ের তলায় চেপে রেখেছিলেন– হুকুম ছিল পদধূলি পাবে, কিন্তু ছাড়া পাবে না, মেনে চলবে কিন্তু ভেবে চলবে না। পৃথিবীতে বোধ হয় সেই সব প্রথম ফাসিস্ট নীতির প্রবর্তন । কোনো রাষ্ট্রিক শক্তির অক্ষুন্নতা যদি নির্ভর করে অধিকাংশের বুদ্ধি-পঙ্গুতার পৃষ্ঠে স্বল্পাংশের বুদ্ধি-স্বাধীনতার নিরাপদে অধিরোহণ তাহলে— থাকগে ও সব কথা, আমরা অন্য কালের লোক । বাধা পথ নেই চিঠির, ও রেলগাড়ি নয়, ও চলে খোলা মাঠের মধ্যে। একটা সাহিত্যের তর্ক তুলব তোমার সঙ্গে, এই কথা মনে করেই তোমাকে চিঠি লিখতে বসেছিলুম। কিন্তু ভূমিকাটাই চার পা তুলে বেড়া ডিঙিয়ে দৌড়ে চলেছে ૨ઉ S