পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিটলারই মেলবন্ধন করেন। নাজি-নীতি অনুসারে সাহিত্যের কে কুলীন কে অস্ত্যজ, তার উপরেই তার নিম্পত্তির নির্ভর। ব্যাপারটা যে অত্যন্ত হাস্যকর, সেটা চাপা পড়ে গিয়েছে এর শোচনীয়তার তলে । সেদিন কোনো এক বাংলা কাগজে দেখা গেল, আমরা এখানকার কবিরা যদিও রাশিয়ান নই, তবুও আমাদের কবিতারও শ্রেণীবিচার হচ্ছে সোভিয়েট আদর্শে ; ভাবের দিকে সে রচনা ভালো কি মন্দ তা নিয়ে নয়, জাতের দিকে সে বুর্জোয়া কি প্রোলিটেরিয়েট এই নিয়ে। সেদিন কাগজে দেখলুম– সত্যমিথ্যা জানি নে,— কোনো বিভাগে হিন্দুর চাকরি দুর্লভ হওয়াতে কোনো হিন্দু উমেদার মুসলমান ধর্ম নিয়েছিল। আধুনিকতার বাজারে আন্তরিকত বা ভালোমন্দ বিচার না করে রচনাকে প্রোলিটেরিয়েট সাজে সাজানো হয়তো কালক্রমে দায়ে পড়ে চলতি হতে পারে। আমাদের সন্তোষ এক কালে কতকগুলি সাওতালি গান সংগ্ৰহ করেছিল, জানি নে সে গান বুর্জোয়া কি প্রোলিটেরিয়েট। না জেনেও তার মধ্যে কোনো কোনো গান খুব ভালো লেগেছিল। তার থেকে প্রমাণ হবে কি যে, সেগুলি বুর্জোয়। যখন ময়মনসিংহগীতিকা হাতে পড়ল খুব আনন্দ পেয়েছিলুম। শ্রেণীওয়ালাদের মতে এসব কবিতা হয়তো বা প্রোলিটেরিয়েট, কিন্তু আমি তো জাত-বুর্জোয়া, আমার ভালো লাগতে একটুও বাধে নি। ভাটার দিনে যখন উপরকার প্রবাহের প্রবল ঐশ্বর্যের চেয়ে তলাকার কুড়িপাথর পাকের প্রাধান্ত জোর ૨ (t\૭