পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার পরে এল প্রবন্ধের মাল বোঝাই করার পালা । প্রধানত এই পর্ব দেখা দিয়েছিল বঙ্গদর্শন দ্বিতীয় পর্যায়ের যুগে। মন ভারাক্রান্ত ছিল কর্তব্যবুদ্ধিতে । সেই ভার চেপেছিল গদ্যের স্কন্ধে। ফিরে যখন তাকাই তখন কলমটাকে মনে হয় আদিম যুগের অতিকায় জন্তুর দলে। কিছু কাল তার আধিপত্য ছিল । একেবারে তার দিন যায় না, কিন্তু যে আত্মশ্লাঘার অভিব্যক্তির মুখে তার ল্যাজ প্রসারিত হয়ে চলেছিল, তার জোর কমেছে। বাহুল্যে তার আর রুচি নেই। এখন লিখি লিখতে যদি মন যায়। লেখার পায়ে-চলার পথে চলি আলাপ জমিয়ে যাবার ঝোকে । তার দায়িত্ব বহু লোকের কাছে নয়। যাকে ভালো করে চিনি তার সামনে বসে বকে যাওয়া সহজ, কেননা সেও ভিতর থেকে বকিয়ে নেয়। লেখাটার পরিমাণ থাকে দুটি মনের মাপে। যুগ তারা চলে পরস্পরের কাছ থেকে অলক্ষ্যটান ধার করে নিয়ে, চিঠির চাল সেই অলক্ষ্য লেন-দেনার চাল । আজ তোমাকে লেখবার উপলক্ষ্য হোলো সুধীন্দ্র দত্তর স্বগত বইখানি পড়ে। পড়তে কিছুকাল ইতস্তত করেছিলুম, ভয় ছিল আমার দেহের বর্তমান অবস্থায় ওটা উপযুক্ত লঘুপথ্য হবে না। কিন্তু জনশ্রুতি ক্রমশই অত্যুক্তির দিকে চলে। সুধীন্দ্রের লেখা দুরূহ এ বাণীর সুর অনবধানে চড়ে যাচ্ছে । তাহলেও সংস্কারটার একেবারেই মূল নেই এও বলতে পারি নে। হয়তো তার গদ্য চলতে চলতে আপন পথ পাকা করে ૨ (Rbr