পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিয়েছে, গোড়ায় সে চলত বন্ধুর পথে। তা হোক কিন্তু র্তার গদ্য কেন যে জলের মতো সহজ কখনোই হোতে পারে না তার কারণ আছে । এই প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দিচ্ছি, আগেকার চিঠিতে তোমাকে জানিয়েছিলুম বাংলায় “চিন্তা” শব্দটাকে ইংরেজি “থট্র” শব্দের জায়গায় বসিয়ে দিতে পারব না। সুধীন্দ্র ওকে “মনন” বলেছেন যে অর্থে ওতে ভাবনার একটা প্রক্রিয়া বোঝায়। কিন্তু যে বিষয়টাকে নিয়ে মনন করা যায় এবং যা মননের পরিণতি তাকে বাংলায় “মত” বললেই ভালো হোত, সে সুযোগ আর নেই। তাই আমি মনে করি “মন্তব্য” শব্দটাতে কাজ চলতে পারবে । করে, কেননা মননশীল তার মন । সাহিত্য-রচনায় কারো বা চিত্তবৃত্তিতে কল্পনার কর্তৃত্ব কারো বা মননের। আরো একটা প্রবর্তন আছে তাকে বলা যেতে পারে লোকহিতৈষী, তাতে শ্রেয়োবুদ্ধির ফসল চাষ হয়। আমার নিজের লেখা নিজে বিচার করতে সম্মতি যদি দাও তাহলে বলতে হয় আমার লেখায় প্রধানত কল্পনা আর শ্রেয়োবুদ্ধি এই দুটোরই চালনা। সুধীন্দ্রনাথের মুখ্য আনন্দ মননে, শিক্ষা দেওয়ার উপদেশ দেওয়ার আভাস যদি কোথাও দেখতে পাওয়া যায় সেটা নেহাৎ গৌণ, এমন কি মনে হয় তার প্রতি র্তার অশ্রদ্ধা আছে । মননে যার প্রয়োজনাতীত আনন্দ তার কাছে নিশ্চিন্ত সিদ্ধান্তের পাকা দাম নেই। তাই সুধীন্দ্র অনায়াসে ఇ(t S)