পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফসল। র্তার এই সঞ্চয় সম্বন্ধে তিনি আমার মত জানতে চেয়েছিলেন। আমাকে ফাকি দিতে হবে। চিঠির কোণটুকুর মধ্যে প্রবেশ করে দায়িত্বের আয়তন খাটো করা সহজ । বিচারকের সঙ্গে লেখকের স্বাজাত্য থাকা চাই, সুধীন্দ্রের সঙ্গে আমার প্রভেদ আছে অনেকখানি। যে সংস্কৃতির ক্ষেত্রে তার অবাধ সঞ্চরণ, কোনো এক কালে হয়তো আমি সেখানে হাওয়া খেতে বেরিয়েছিলুম, কৌতুহল যথেষ্ট ছিল, কিন্তু এখন সেখানে আমার চলার পথে ঘাস উঠে গেছে। অনেক দিন থেকে আমাকে অন্য রাস্তায় টেনেছে সে তুমি জানো। কর্তব্যসাধনার কাছে আমাকে অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়েছে তার মধ্যে বই পড়াটাই সর্বপ্রধান। সুধীন্দ্র দেশবিদেশের নানা সাহিত্যক্ষেত্রে ভ্রমণ করে বেড়াচ্ছেন— মনের অভিজ্ঞতা কেবলি বাড়িয়ে চলায় তার শখ— সে শখ নিছক আরামে মেটাবার নয় বলেই আমাদের দেশে মননভূমির ভবঘুরে এত অল্প । আমার জানাশোনার মধ্যে অার এক জন লোক জানি যিনি হচ্ছেন প্রমথ চৌধুরী। তিনি মননবিলাসী, তিনিও গ্রন্থবিহারী। তিনি অনেক ভাবেন, অনেক পড়েন, অল্প বয়সেও তার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারি নি। তার লেখা যখন পড়ি মনকে বলি,— মন তুমি কৃষিকাজ বোঝে না— চাষ-আবাদ করা হয় নি, সোনা যদি পেয়ে থাকি সে পড়ে-পাওয়া – এই প্রসঙ্গে প্রমথর রচনা সম্বন্ধে এ কথা বলা আবশ্বক যে র্তার লেখায় কেবল বুদ্ধির উজ্জ্বলতা নয় প্রাণের সরস প্রবাহ প্রবল । ミやミ