পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজের ভিতরকার অজানা_সম্পদকে তীরে তুলে এনেছিল। বাইরের পাওয়ার আবেগেই নিজেকে পাওয়ার পালা শুরু হয় । বাইরে থেকে সঞ্চয়টা এর প্রধান জিনিষ নয়, তার চেয়ে ভিতর থেকে নিজের পরিচয়টি আরো বড়ো। সেই আত্মপরিচয়ের এলেকায় এসেছি। এখন সেই আপনাকে পাওয়ার ভূমিকাতেই সকল পাওনাকে আত্মসাৎ করবার সময়। যদি এখনকার কালে জন্মাতুম মনের কী চেহারা তৈরি হয়ে উঠত কেমন করে বলব। সভ্যতার নানা অধ্যায়েই বিচিত্রের মিশ্রণ স্বষ্টির কাজ করতে থাকে। যে সভ্যতায় মিশ্রণের বাধা ঘটে সেখানে আদিম মালমসলা একঘেয়ে পুনরাবৃত্তির দৈন্য প্রকাশ করে । তাই যে সব তরুণদলের চিত্ত এখনকার যুগের প্রবর্তনায় আলোড়িত আমি তাদের নবজীবনের দৃশ্য দেখছি দূর সমুদ্রের প্রবালদ্বীপের মতো। যদি সময় থাকত তাহলে নেীকো বেয়ে সেখানে কিছুদিনের মতো সায়ের করে আসা যেত। মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে তাই তোমাদের মতো সিন্ধবাদ নাবিকদের সঙ্গে আলাপ করতে চাই। সুধীন্দ্র সেই সিন্ধবাদের দলের একজন। এই “স্বগত” বইয়ে তিনি আলাপ জমিয়েছেন। কিন্তু সে আলাপ সম্পূর্ণ আমাদের মতো আনাড়িদের লক্ষ্য করে নয় । তিনি ধরে নিয়েছেন এখনকার কালের সকলেরই কামিংস এজরা পৌণ্ড ঈডিথ সিটওয়েল এলিয়ট অডেন স্পেণ্ডর সম্প্রদায়ের সভাস্থলে অবাধে যাওয়াআসা আছে। কাজেই তার এই অংশের সাহিত্যালোচনায় সমজদারদের মধ্যে মাথা নাড়ানাড়ি চলবে । আমার মতো 8وف ج.