পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতিশয় দেখা যায় না শ্রেষ্ঠত সেই রাজ্যেরই । ছন্দ সম্বন্ধে অত বড়ো কথা বলতে মুখে বাধে, কেননা তার সঙ্গে আমার মনের মেলামেশা বাল্যকাল থেকেই, কিন্তু একথা জোর করে বলতে পারি যে, যে-ছন্দ বাইরে থেকে অতিপ্রত্যক্ষ নয়, আসন যার কাব্যের_গুঢ় অন্তরে, শাসন তার নেই বলেই তার গৌরব। যে হারুন-অল-রসীদ, আমির-ওমরাওদের মধ্যে সিংহাসনে বসেন তাকে তো সেলাম দিয়েই থাকি, রাজদণ্ড ফেলে দিয়ে অগোচরে যিনি সাধারণ প্রজাদের ঘরে ঘরে ঘুরে বেড়ান মনে মনে তাকে যদি মান দিতে না পারি তবে সেটাতে আপনাকেই খর্ব করি বাদশাকে নয় । চিঠি লিখে প্রবন্ধ লেখার দায়িত্বভার হালকা করলুম তার একটা কারণের আভাস দিয়েছি পূর্বেই, অর্থাৎ এই বইখানি সম্বন্ধে সব কথা বলবার মতো আয়োজন আমার ভাণ্ডারে নেই, আর একটা কারণ এই যে, আমার বর্তমান অবস্থায় আপন লোকের পাশাপাশি পায়চারি করতে করতে আলাপ করা আমার পক্ষে সহজ, দশ জনের কাছে জবাবদিহির সতর্কতাটা সর্বদা মনে রাখতে হয় না। ইতি ১১৪৩৯ তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৬ ৭