পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার সতর্কত অবিচলিত ছিল কিন্তু শোনা যায় তার ডাকাতি মন নিরুদ্ধ থাকতে পারে নি। প্রভুর অগোচরে তার দস্থ্যুবৃত্তির চাঞ্চল্য দূরে দূরে উপদ্রব করে বেড়িয়েছে। নেশনের স্বার্থরক্ষার প্রতিনিধিরা একত্র জোট বাধলেই যে স্বার্থসমষ্টির রং বদলিয়ে সেটা পরার্থবৃদ্ধির শুভ্রতা লাভ করবে তা আশা করা যায় না। এ তে সূর্যের আলো নয় যে তার সাতরশ্মি একদল হলেই শুভ্র হয়ে উঠবে। স্বার্থের মিলন ভিতরে ভিতরে ভাঙনের বুদ্ধি সঙ্গে করেই আনে। লীগ অফ নেশনসে তাই বাধন ছেড়ার ইতিহাস অধ্যায়ে অধ্যায়ে বেড়েই চলেছে। তার প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানুষের ইতিহাসে ক্ষমতালোলুপ নেশনরা দেখতে দেখতে যেরকম দুৰ্বত্ত হয়ে উঠেছে এমন আর কোনোদিন হয় নি অথচ লীগ তাদের ঠেকাতে পারে নি। কেমন করে ঠেকাবে ? আমাদের দেশে একটা কথা আছে, যে-শর্ষে দিয়ে ভূত ঝাড়াবে সেই শর্ষেকেই পেয়েছে ভূতে। স্বার্থের চেয়ে কল্যাণকে বড়ো করে মানবার র্যাদের শিক্ষাদীক্ষা রাষ্ট্রপতিরা সেই মনীষীদের উপেক্ষা করে নি প্রাচীন ভারতে প্রাচীন চীনে। সেইজন্যে যুদ্ধনীতিতেও মনুষ্যত্বকে স্বীকার করেছিল ভারতবর্ষ আর চীনে সামরিক মনোবৃত্তি অত্যুচ্চ সম্মান পায় নি । ও কথা থাক। এখন নিজের কথা বলি। আমার কোনো কর্ম নেই, এখানে আমাকে কারো কোনোই প্রয়োজন নেই, র্যারা আমাকে যত্ন করে রেখেছেন তারা আমার কাছ থেকে কোনো ব্যাবসায়িক পরামর্শ দাবী করেন নি। আমার শরীর ፰ ዓ »