পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার চিঠি তার ভারাকর্ষণে চ্যাপট হয়ে পলিটিকসের শনিগ্রহের চারদিকে ঘুর খেতে লাগল। দৌড় দিয়েছে লম্বা চালে কিন্তু রস পেলুম না। মাথার মধ্যে মেঘ ঘনিয়েছিল, ভেবেছিলুম হবে একচেটি ধারাবর্ষণ কিন্তু হোলো কিনা শিলবৃষ্টি। তার কারণ কড়া হাওয়া দিয়েছিল মনের আবহমণ্ডলে । ইতিহাসের ঝোড়ো মাতুনি চলেছে জগৎ জুড়ে, লুটোপুটি করচে ওষধি বনস্পতি, দোহাই পাড়চে শাখা প্রশাখারা বধির আকাশের দিকে। এই ধাক্কাটা তাদের ভাঙবেই যাদের মজ্জা দুর্বল, র্কাচা ফল অনেক যাবে পড়ে পাক ধরবার পূর্বেই। একটা সংকটের পর্ব চুকিয়ে দিয়ে যারা টিকে থাকবে তারা নতুন জীবনের পালা আরম্ভ করবে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন অতীতের মাঝখানে, যা অনিবার্য তা সব নিষেধকে ঠেলেঠলে ঢু মারবে ভিতর থেকে। আমরা সেই অনিবার্যতার সঙ্গে জড়িত তাও জানি, আমাদের জোর লাগাতে হবে তার দক্ষিণে নয় বায়ে দাড়িয়ে, তাকে চরমে নিয়ে যাব সবাই মিলে সত্যমিথ্যার ঠেলাঠেলিতে। তবু গীতার শাসন মানতে হবে— ইতিহাসবিধাতার স্বষ্টিকার্যে খাটুনি খাটতেই হবে কিন্তু মনকে রাখতে হবে নিরাসক্ত । বিভ্রান্ত হয়ে চেঁচামেচি করি কেন, হিষ্টিরিয়ার হাত পা খেচুনি কেন লাগে কথায় কথায়। বাংলাদেশের মনে অল্প একটুতেই ধূলো-ওড়ানো অঁাধি লাগে, উনপঞ্চাশ পবনের মধ্যে সেইটেই সবচেয়ে দুর্বল হাওয়া। দেখতে সে পালোয়ান, কিন্তু যারা স্থষ্টিকার্যের পক্ষভুক্ত তারা এর হাসফাসানিতে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। যারা অব্যবস্থিত চিত্ত ২৭৫