পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংহরণ করে রেখে না, তাকে বিকীর্ণ করে দাও– তুমি যে আপনার ভারে আপনি পীড়িত সেই ভারটা কেটে যাক । ইতি ৪ অগ্রহায়ণ ১৩২৫ >2 ২৫ জুন ১৯১৯ હૈં কল্যাণীয়েযু তোমার চিঠিখানি পড়ে বড় খুসি হলেম । আমি অনেকদিন থেকেই তোমার জন্যে উদ্বিগ্ন ছিলেম— উদ্বেগের কারণ ছিল এই যে, তোমার মন, তোমার শক্তি নিজেকে উপযুক্ত ক্ষেত্রে ও উপযুক্ত উপায়ে প্রকাশ করবার পথ পাচ্ছিলনা। এইজন্যে ক্রমাগত নিজেকে নিজে আঘাত করছিল— সেই আত্মপীড়ন থেকে তুমি রক্ষা পাও এই আমার একান্ত ইচ্ছা ছিল। আমাদের কত যে দুঃখ কত যে দায়িত্ব তার সীমা নেই– অথচ আমরা কেবল দুঃখটাকেই বহন করে চলেছি দায়িত্বকে গ্রহণ করচি নে এইটেতেই আমরা কেবলি নেবে যাচ্চি। সকল বড় বড় দেশেই এমন সকল বীর আছে যার দুৰ্গতিকে চরম বলে কিছুতেই স্বীকার করে না— যারা নিজের প্রাণ দিয়েও তাকে উপহাস করে । আমরা আলস্য ঔদাস্ত্য বশত দুৰ্গতির সঙ্গে আপোষে সন্ধি করে বসে আছি— এমন কি, তার পক্ষসমর্থন করে তার প্রশংসা করে তার বলবৃদ্ধি করচি। সেইজন্যে এতদিন আমি বড় দুঃখ পাচ্ছিলুম যে, "ל כי