পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শূন্ত তহবিল এবং এমন জনসংঘ নিয়ে যাদের মন কর্মবিধানে দৃঢ় নয়, যারা অশাসিত। যাদের শক্তি হয় অচেতন হয়ে থাকে নয় অন্ধ হয়ে ছোটে। দেশের পলিটিক্সের আরম্ভ হয়েছিল এই দুরূহ সমস্যা নিয়ে। সেই জন্যে প্রথম যুগের নেতারা অগত্যা নেীকে বানিয়েছিলেন দরখাস্তের পার্চমেণ্ট দিয়ে। সেটা দাড়িয়েছিল খেলায়। এই রিক্ততার সমস্যা নিয়েই এক দিন মহাত্মা এসে দাড়ালেন বিপুল শক্তিমান প্রতিদ্বন্দ্বীর সামনে, দুঃখ সয়েছিলেন, মাথা হেঁট করেন নি। বিনা যন্ত্রশক্তিতে লড়াই যে চলতে পারে এইটে প্রমাণ করতে র্তার আসা। একটা একটা উপলক্ষ্য নিয়ে তিনি লড়াই শুরু করে দিলেন, কোনোটাতে যে শেষ পর্যন্ত জিতেছেন তা বলতে পারি নে। কিন্তু পরাভবের মধ্যে দিয়ে জেতবার ভূমিকা স্থষ্টি করছেন। ক্রমে ক্রমে সেই মন তৈরি করছেন যে-মন তার সংকল্পিত অস্ত্র যথাযোগ্য সংযম ও সাহসের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারে। এই অস্ত্র ছাড়া কেবল যে আমাদেরই উপায়ান্তর নেই তা নয়, সমস্ত পৃথিবীরই এই দশা। হিংস্র যুদ্ধ নিরস্ত ; সে একই কেন্দ্রের চারি দিকে ধ্বংস-সাধনের ঘুরপাক খাওয়ায় ; তার সমাপ্তি সর্বনাশে । হিংস্র যুদ্ধের ফৌজ তৈরি করা সহজ, বছরখানেকের কুচকাওয়াজে তাদের চালিয়ে দেওয়া যায় রণক্ষেত্রে। কিন্তু অহিংস্র যুদ্ধে মনকে পাকা করে তুলতে সময় লাগে। অশিক্ষিত লোক নিয়ে ভিড় জমানো অনেক দেখা গেল, তাদের নিয়ে দক্ষযজ্ঞ ভাঙা চলে, এমন সিদ্ধিলাভ চলে না যা মূল্যবান, ミレ*