পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার যদি কণ্ঠ থাকত তাহলে এই কবিতার সমস্তটা আমি মানববিশ্বের কাছে পড়ে শোনাতুম। এর উপরে একটা কথাও আমার বলবার নেই। মীটিং করে কী হবে,— মীটিঙের কতটুকু পরিধি, কতটুকু প্রাণ, কতটুকু কণ্ঠস্বর। কবি কি খবরের কাগজের প্রতীক ? আমার এই কবিতা তোমরা হয়তো ভুলে গেছ— যদি না ভুলতে তাহলে বলতে আমার যা কাজ আমি শেষ করে দিয়েছি— আবার তাতে জল মিশিয়ে তাকে নতুন করে পরিবেষণ করা সাহিত্যিক নীতি । আজ বাংলা দেশে যে আস্ফালন আলোড়ন চলচে তার মধ্যে এত নকল গর্জন আছে যে তাতে আমি লজ্জিত। এই ব্যর্থ শক্তির চোখরাঙানি-রঙ্গভূমি থেকে দূরে থাকতে চাই। , যে কবিতার কথা বলচি তার একটা অত্যন্ত দুর্বল তর্জমা করেছিলুম— বোধ হয় আছে Fugitiveএ— কিন্তু তাতে আমার কণ্ঠস্বর পাবেনা। ওটা একবার তর্জমা করে দেখতে পারো— আমার শক্তি আর নেই, এখন আমার পলতের শেষভাগটা জলচে– ধোয়ার সঙ্গে আলোর দ্বন্দ্ব চলচে । ইতি ১৮৯৩৯ তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেখচি তুমি কলকাতায়— বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে লেগেছ কি ? যদি বেকার থাক তাহলে কিছুদিনের মতো নগাধিরাজের এই নিভৃত কোণটার পরিচয় নিয়ে যেতে পারো। গৃহকর্তা \o e >