পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহস্বামিনী উৎসুক আছেন— তোমার সহচারিণী দুটিকে আনলেও অসুবিধে হবেনা 〉)V ২ • সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ \ર્ક মংপু কল্যাণীয়েযু এ যেন বিশ্বজুড়ে একটা দুঃস্বপ্ন। চোখের সামনে মানুষের ভদ্রনীতির মূল কাঠামোট দেখতে দেখতে ক্ষণে ক্ষণে অদ্ভূতরকমে তেড়ে বেঁকে যাচ্চে। আর কিছুকাল আগে এই চেহারার বীভৎস ব্যঙ্গ বিকৃতি ভাবতেই পারতুম না। কখন ভিতরে ভিতরে সভ্যতার মূল্য বদল হয়েছে, সেটা প্রধানত দাড়িয়ে গিয়েছে জীবনযাত্রায় বস্তু-ব্যবহারের যান্ত্রিক নৈপুণ্যে । বহু বস্তু প্রসূতি যন্ত্রশালার মালখানায় বসে মারাত্মক লোভরিপুর লোলরসনা অহরহ লালায়িত হয়ে উঠছিল। তার সম্বন্ধে শক্তিলুব্ধ গৃধ্ৰুজাতিদের লজ্জাসংকোচ ক্রমশই আসছিল ক্ষীণ হয়ে। এই রক্তপিপাসু বসে থাকে পুলপিটের পিছনেই, কলেজক্লাসের আঙিনায়। এর চারদিকে বুদ্ধির উৎস থেকে ধর্মতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, অর্থনীতিতত্ত্ব, বিজ্ঞানতত্ত্বের বাক্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে, সে রয়েছে অস্নাত, তাকে ধৌত করতে পারচে না। সে কেবল অন্ধ উৎসাহে ভিৎ খুড়ে চলচে রাজ্যসাম্রাজ্যের নিচের তলায় বসে, জয়স্তম্ভগুলো টলমল করচে, সেই সঙ্গে ভেঙে পড়চে মনুষ্যত্বের বাধনগুলো । এর কোনো প্রতিকার ৩ ও ২