পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যখন খৃষ্টীয় ধর্মাধ্যক্ষেরা ধর্মের নামে মানুষকে পুড়িয়ে গুড়িয়ে ছিড়ে কেটে পুণ্য উপার্জন করছিল— তখন এই বিরাট ছিলেন অবিচলিত, কিন্তু নিঃশব্দে র্তার হিসাব নিকাশ চলছিল— কেউবা গেল লুপ্ত হয়ে কেউবা রইল সুপ্ত হয়ে, নতুন নতুন চেনা অচেনার ঠাই বদল চলল, আরম্ভ হোলো মনুষ্যত্বের নতুন নতুন পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় নাম লেখাব যে সে রাস্তা বন্ধ — ভাগ্য অমুকুল হলে ইতিহাসের চতুরঙ্গে আমরা হতে পারতুম খেলোয়াড় কিন্তু হয়েছি ব’ড়ে। স্বাতন্ত্র্য খুইয়েছি শনৈ: শনৈঃ, আজ ধর্মের নামেই হোক অধর্মের নামেই হোক, বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিতে যাব এ কোন পঙ্গুতা নিয়ে ? অঘাসুরকে ঠেকাবার ভঙ্গী করতে পারি যেমন ভঙ্গী করেছিল বকাসুরকে মারবার জন্যে ব্রাহ্মণ গৃহস্থের শিশুপুত্রটি ভাঙা কাঠি হাতে নিয়ে, তার চেয়ে তোমরা যাকে বলে এসকেপিজম, আমার সেই কবিত্বই ভালো। দেখলুম দূরে বসে ব্যথিতচিত্তে, মহাসাম্রাজ্যশক্তির রাষ্ট্রমন্ত্রীরা নিস্ক্রিয় ঔদাসীন্যের সঙ্গে দেখতে লাগল জাপানের করাল দংষ্ট্রাপংক্তির দ্বারা চীনকে খাবলে খাবলে খাওয়া, অবশেষে সেই জাপানের হাতে এমন কুন্ত্রী অপমান বারবার স্বীকার করল যা তার প্রাচ্যসাম্রাজ্যের সিংহাসনচ্ছায়ায় কখনো ঘটে নি। দেখলুম ঐ স্পৰ্দ্ধিত সাম্রাজ্যশক্তি নির্বিকারচিত্তে এবিসনিয়াকে ইটালির ই করা মুখের গহবরে তলিয়ে যেতে দেখল, মৈত্রীর নামে সাহায্য করল জর্মনীর বুটের তলায় গুড়িয়ে ফেলতে চেকোশ্লোভাকিয়াকে ; দেখলুম ননইন্টরভেনশনের কুটিল প্রণালীতে স্পেনের রিপবলিককে দেউলে \9e 8