পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটা অনাস্থষ্টি দেখা দিল। যে নির্মম শাসনশক্তি আমাদের দেশে ব্যেপে দিয়েছে নিজীব তামসিকতা, সেই শক্তিই যুরোপে জাগিয়ে তুলেছে উগ্র কঠোর তামসিকতা। আমাদের ক্ষীণ রেখার ছবি কারো চোখে পড়বেনা, কিন্তু য়ুরোপে হিংস্ৰ শক্তির অফুরান লীলা আজ উৎকটভাবে দেখা গেল। দেখলুম একবারকার যুদ্ধের ফসল যখন সে ঘরে তোলে তখন আর-একবারকার যুদ্ধের বীজ বপন করতে সে ভোলে না। এবার যুদ্ধের বান ডেকে এসেছে, প্রলয়ের ঝোড়ো হাওয়া লেগেছে হিংস্ৰ শক্তির হাজার হাজার পালের উপর। যে পক্ষই হোক উপস্থিতমতো একটা ফল পাবে যাকে সে বলে জিত। তারপর চলবে সেই কাটাগাছের চাষ যা মনুষ্যত্বকে বিক্ষত করবার জন্যে । সেই জন্যেই বলি, এ-পক্ষেরই হোক আর ও-পক্ষেরই হোক জয়কামনা করব কার । জয় যে হিংস্র শক্তির । আমি পোলিটিশান নই। র্যারা আমাদের দেশের রাষ্ট্রনেতা তারা কল্পনা করছেন যুদ্ধে যদি রাজশক্তির সহায়তা করি তাহলে বরলাভ করব। এই যে সহায়তার সম্বন্ধ এটা দরকষাকষির হাটে । এটা আন্তরিক মৈত্রীর নয়, দীর্ঘকাল হয়ে গেল সেই সম্বন্ধ-সাধনার অবকাশ এ-দেশে আজ পর্যন্ত ঘটে নি। আমাদের পক্ষে শাসনকর্তাদের বিশ্বাসপরতা অনুভব করি নি, অনুভব করেছি সন্দিগ্ধ শক্তির কটাক্ষপাত। যুদ্ধের যখন অবসান হবে তখন শক্তির জয় হবে মৈত্রীর নয়। শক্তির পক্ষে কৃতজ্ঞতা একটা বোঝা, তাকে স্বীকার করার দ্বারা ○> ふ