পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেখানে বহুদিন ধরে বহুসংখ্যক বেকারদের অন্নপথ্য চলছে রাষ্ট্রভাণ্ডার থেকে, কেননা মানুষের উপবাসজনিত দুর্বলতা সইবে না যেখানে রাষ্ট্রনীতির প্রতিষ্ঠা শাসনে নয় মিলনে। দেহে মনে জ্ঞানে কর্মে আনন্দসম্ভোগে সেখানে সকল প্রকার আনুকূল্যই প্রচুর পরিমাণে স্বল্প অভাবও সেখানে দৃষ্টিতে পড়ে। স্বভাবের কার্পণ্যবশত মৈত্রী যেখানে তিরস্কৃত সেখানে সমস্ত অধ্যবসায় রাষ্ট্রপ্রতাপকে অপ্রতিহত ক’রে তোলবার দিকে। কিন্তু ক্ষমতার অন্ধ ঔদ্ধত্য বুঝতে পারে না মানুষে মানুষে নির্মমতার নীরস ও অসম্মানজনক সম্বন্ধ কখনই টেকে না চিরকাল, সময় আসে যখন ভিতরের তাপ দুঃসহ হয়ে ওঠে এবং বাইরের বন্ধনজাল বিদীর্ণ হয়ে যায়। শক্তির থেকে মৈত্রীর রাস্তাবদল কোন সত্যের আঘাতে ঘটবে তা বলবার ক্ষমতা আমার নেই কেবল এইটুকু অনুমান করতে পারি যে, শক্তির হাত থেকে আমাদের বরলাভ আরো দুঃসম্ভব হবে যখন সেই শক্তি জয়লাভে দৃপ্ত হয়ে কর্তৃত্বের অধিকারে নিজেকে ধ্রুব-প্রতিষ্ঠ কল্পনা ক’রে অত্যন্ত নিশ্চিন্ত হবে। 幽 আর্ল বলডউইন সম্প্রতি আমেরিকায় একটি বক্তৃত৷ দিয়েছেন তাতে তিনি বোঝাতে চেষ্টা করেছেন যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রনীতি, অর্থাৎ যেটা ইংরেজের, সেটা সমষ্টিতান্ত্রিক রাষ্ট্রনীতি, অর্থাৎ যেটা জর্মনির, তার চেয়ে আইডিয়ালে অধিকতর উচ্চদরের। তিনি বলেন গণতন্ত্র এবং সমষ্টিতন্ত্রের মধ্যে মূলগত প্রভেদ এই যে, গণতন্ত্র স্বীকার করে মানুষের সেই মর্যাদা এবং সেই ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র্য যা সে দাবী করতে পারে ঈশ্বরের আপন > : २ } \33 ծ