পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবল সেখানে মানুষকে উপরে তোলবার জন্তে ঈশ্বরের সঙ্গে হাত মেলানোর কথা মনে আনা কখনই সহজ হ’তে পারে না। বস্তুত আমরা তার উলটো পরিচয়ই পেয়েছি । অতএব আমাদের শাসনকর্তারা স্বগোত্রীয় মণ্ডলীর মধ্যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রনীতির উচ্চ আদর্শের অনুগত এ কথা শুনে আমাদের উৎসাহের কোনো কারণ ঘটে না, কিন্তু এই প্রসঙ্গে ঈশ্বরের নাম নিলে সেটা আমাদের কানে দুঃখ দেয়। শেষ পর্যন্ত প্রশ্ন রয়ে গেল আমাদের গতি কী। যে পথে বড়ো বড়ো দেশ আজ উন্মত্তের মতো ধাবমান সে পথ আমাদের অবরুদ্ধ তাতে সন্দেহ নেই। সে পথে শক্তিশালীরাও যে কোথায় পৌছবেন সেটা সন্দেহজনক। এইটুকুই বলতে পারি ইতিহাসের গতি রহস্যময়। দুর্বলের দুঃখও প্রবলের জাহাজে ছিদ্র ক’রে দিয়েছে তার প্রমাণ আছে। ইতিহাসে যুদ্ধবিগ্রহই একমাত্র স্থযোগ নয়, বঞ্চিতের নৈরাশ্যও কোথা থেকে সুযোগ আকর্ষণ করে আনে এখনি তা বলতে পারি নে। বলতে পারি নে ব’লেই তার আকস্মিক আবির্ভাব বলশালীকে একদিন অভিভূত করবে। যে অভাগাদের পক্ষে মৈত্রীর পথেও কাটা, যুদ্ধের পথেও বাধা তারাই একান্ত আগ্রহের সঙ্গে ঈশ্বরের অভাবনীয় বিধানের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু রাষ্ট্ৰক্ষেত্রে যারা পরজাতীয় মানুষকে চিরকালের মতো নাবিয়ে রাখে, আর যুদ্ধক্ষেত্রে মানুষ-মারা কলের সংখ্যা বাড়িয়ে চলে তাদের মুখে হরিনামের দোহাই শুনলে মন আশ্বস্ত হয় না । ঈশ্বরের নাম নিয়েই বলব \○之S)