পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চেলারা দুঃসময়ের কাছে ভেবড়ে যায় কিন্তু সরস্বতীর চেলা তাকে ডিঙিয়ে যায় কিম্বা তার ফুটোয় ফুটোয় বাশির আওয়াজ তুলে উদ্বিগ্ন হাওয়ার দীর্ঘশ্বাস ডুবিয়ে দিতে থাকে। আজ এই খানিকক্ষণ হোলো সূর্যের আলো পরিণত শিমুলের তুলোর মতো ফেটে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে । আকাশে আকাশে একটা দুশ্চিন্তার কালিমা লেপে গিয়েছিল সেটাকে মুছতে আরম্ভ করেছে। মনে আশা হচ্চে কাছে হোক দূরে হোক একটা সহজ পরিণাম আছেই যার মধ্যে ভাগ্যের প্রসন্নতা প্রকাশ পাবে। মানুষের মন হিসেবী, তাই সে ভীরু, তাই সে আশঙ্কার কারণ খতিয়ে খতিয়ে মাথা ধরিয়ে তোলে, মানুষের আত্মা বীর্যবান, সে নৈরাশ্যবাদী নয়, কেননা তার মাপকাঠি বহুদূরকে নিয়ে। তার মাপকাঠি রাজ্যসাম্রাজ্য পেরিয়ে যাবে, পৌছবে সেইখানে যেখানে সর্বমানবের চরম জয়পতাকা অভ্ৰভেদ করে আছে। সেই পতাকার বাহন কারা সে তকরার করে লাভ নেই, নিশ্চয়ই খুতখুতে ঝগড়াটে পরশ্ৰীকাতর বাঙালী নয়। তবু বাঙালীও হয়তো সেখানকার তীর্থযাত্রীদের জন্তে কিছু একটা পাথেয়ের জোগান দেবে। কিন্তু হায়রে, জগজয়ী বীরের অন্নে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সব কীট লাগিয়ে দিয়ে বাঙালী প্রতিদিন তাতে বিকার ঘটিয়ে দিচ্চে। ওর মনের মধ্যে উয়ের বাসা, তৈরি জিনিষকে নষ্ট করতেই আছে। ওর কণ্ঠে সব চেয়ে যে সুর অকৃত্রিম সে হচ্চে দুয়ো দেবার স্বর। v তোমার প্রেরিত মৃচ্ছকটিকম এইমাত্র পেলুম। এই নাটকে বাস্তবতা আছে কিন্তু বিশ্বাসজনক নাট্যক অভিব্যক্তি এবং ৩২৭