পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থেকে এই সব ছাত্র আসে তারা আত্মার দীনতা দ্বারা পীড়িত। মন যেখানে কেবলি ছোট ভাবনা ভাবতে বাধ্য, ছোট কৰ্ম্ম করতে নিযুক্ত, সেইখানে এই আত্মার দীনতা ঘটে। সঙ্কীর্ণ ঘর যদি বদ্ধ হয় তাহলে বাতাস দূষিত হয়ে ওঠে। “কালোহয়ং নিরবধিঃ” আমাদের পক্ষে সত্য নয়, “বিপুল চ পৃথ্বী;” সেও আমাদের পক্ষে মিথ্যা । মানুষ যখন তার কীৰ্ত্তির জন্যে বৃহৎকালের ক্ষেত্র না পায় তখন সে নিজের মাহাত্ম্যকে প্রকাশ করতেই পারে না, সে আপন অভাবকে হীনতাকেই ব্যক্ত করে। নিরস্তর যে দেশে কেবল এই অভাব এবং দুঃখ দুৰ্গতিই প্রকাশ পাচ্চে সেখানে আত্মার উপরে মানুষের শ্রদ্ধা চলে যায়— পরস্পরের কুৎসাবাদে ঈর্ষ্যাপরতায় সেই শ্রদ্ধাহীনতা মানুষের আত্মাবমাননাকে উদঘাটিত করতে থাকে। আমাদের দেশের লোককে বারবার জানাতে হবে যে আমরা “অমৃতস্য পুত্রাঃ” আমরা দিব্যধামবাসী । কি করে জানাতে হবে ? ত্যাগের দ্বারা । চিরন্তন কালের প্রতি যার শ্রদ্ধা আছে সেই ত আনন্দের সঙ্গে বৰ্ত্তমান কালকে ত্যাগ করতে পারে— এবং সেই চিরন্তন কালই আত্মার অমৃতধাম । পশ্চিম দেশ বড় হয়ে উঠেচে, অর্থ সংগ্রহের দ্বারা নয়, আত্মবিসর্জনের দ্বারা। এত বহু লোক এখানে ভাবের জন্যে বস্তুকে, ভাবীর জন্তে উপস্থিতকে ত্যাগ করচে যে তার সংখ্যা নেই। সেই রকম অনেক লোককে দেখেচি। যতই দেখচি ততই মানবাত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জন্মাচ্চে । জগতে যত কিছু উন্নতি ঘটেচে মানুষের সেই 있\2)