পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুল হয়, বুঝতে পারি তিনি সর্বশক্তিমান নন, সেইজন্যে র্তাকে এত কাটাকুটি করতে হয়, সেই কাটাকুটির দুঃখ আমরা এড়াব কী করে। আমাদের সেই চেষ্টাই নৈতিক চেষ্টা যে চেষ্টায় কাটাকুটির কারণের শোধন হয়, জগদগুরুরা তারি ধ্যান করেছেন। এই ধ্যানে তারা পেয়েছেন মূলগত শোধনের উপায় প্রেম ও ত্যাগ– তাই তারা প্রচার করেছেন। বলেছেন, মা গৃধঃ, বলেছেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীথা । তাদের এই বাণী বিরাট মহাপুরুষের বাণীর অন্তর্গত। আমাদের আশার কথা এই বাণী উচ্চারিত হয়েছে, সুতরাং ক্রমশ যুগ যুগ ধরে এ বীজের মতো কাজ করবে নইলে এমন সব আশ্চর্য কথা ভাষা পেতই না— এ কথার মতো অদ্ভূত কথা নেই যে আত্মবৎ সর্বভূতেষু য পশুতি স পশুতি। বহু শতাব্দী ধরে এই নীতির ব্যতিক্রম হয়ে চলেছে— কিন্তু ব্যতিক্রমের ভিতর দিয়েই গড়া চলে, যেমন করে আমরা কবিতা লিখি । এই ব্যতিক্রম টেনে আনে মূর্তি গড়ায় হাতুড়ি পেটানো, তাতেও যখন বিরাটের মনের মতো হয় না তখন নতুন স্থষ্টির সংকল্প আসে— পশুস্থষ্টিতে এই রকম প্রলয়ের কাজ যুগযুগান্তর দেখেছি, মানুষ সৃষ্টিতেও রক্তের অক্ষরে কতবার পালটিয়ে লেখা দেখেছি। একদিন যদি চরম ফেলকরার কাটাদাগ সেই ইতিহাসের উপর থেকে নিচে পর্যন্ত চিহ্নিত হয় তবে পাতার কিছু অংশ বাকি থাকবে তাই নিয়ে পরের অধ্যায়ের পত্তন হবে— আজ র্যারা সেই বাকির দলে, খবরের কাগজের মোট শীর্ষ লাইনে তাদের নাম ওঠে না, কাটা পড়ার দলই \○○○。