পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পড়ে। সেই-সব অপ্রত্যাশিত দৃশ্য মনকে বিশেষভাবে টানে তার একটা প্রমাণ ছেলে ভোলাবার ছড়া। অনেক চেষ্টাকৃত সাহিত্যের আয়ু পেরিয়ে সেগুলো আজ পর্যন্ত বেঁচে আছে। তারা সব অদ্ভূত স্বপ্নের বানানো কিন্তু রস আছে তাদের মধ্যে, নইলে মানবশিশু ভোলে কী নিয়ে। খোকা গেল মাছ ধরতে ক্ষীর নদীর কূলে, ছিপ নিয়ে গেল কোলা বেঙে, মাছ নিয়ে গেল চিলে, খোকা বলে পাখিটি কোন বিলে চরে, খোকা ব’লে ডাক দিলে উড়ে এসে পড়ে । এ স্বপ্নরূপ বানানো সহজ নয়। সব অসম্ভব ছবি, কিন্তু ছবি । বোধ করি অসম্ভব ব’লেই উজ্জ্বল হয়ে চোখে ঝলক মারে— অর্থসংগতির দরকার নেই। পাখি হয়ে খোকা বিলে চরে বেড়াচ্ছে, তার মাছ ধরবার অন্যায় বাধা ঘটাচ্ছে দুটো প্রাণী— চোখে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, এইটেতেই ওর রস । এই অবচেতনী কল্পনার অসংলগ্নতার আঙ্গিক কাব্যে ব্যবহার করা চলতে পারে যদি ঠিকমত তার ব্যবহার হয়। যদি এই প্রণালীতে বিশেষ একটা ছবি ফুটে ওঠে, বিশেষ একটা রস জাগে মনে । কাব্যের সেই বিশেষত্বকে উপেক্ষা করা চলবে না । V ফ্রয়েডের মনস্তত্ত্ব প্রচার হওয়ার পর পাশ্চাত্য জগতে অবচেতনের যেন একটা খনি আবিষ্কৃত হয়েছে। সাহিত্যে এর বেগ আর রোধ করা যায় না। এই অপ্রকাশ ভূগর্ভের জিনিসকে নানারকম প্রকাশের ব্যবহারে লাগানো চলছে } \రి ఆశి