পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাতাগুলো ঝিলমিল ক’রে উঠছে। এরি মধ্যে মধ্যে পাখির কিচিমিচি । টবে অনেক দিনের প্রত্যাশিত বেগনি রঙের ক্যামেলিয়া এইবার ফুটে উঠল বলে। বাধানো চৌবাচ্চায় জলের ধারে সোনালি মাছের খবর নিতে এসেছে এক পায়ে দাড়িয়ে বক। এই-সমস্ত নিয়ে এক নিরবচ্ছিন্ন প্যাটরনে সাজিয়ে তোলা আমার সকাল বেলা । এই ফর্দ থেকে ঐক্যবিলাসী মন স্বতই কী কী অবাস্তরকে বাদ দিয়েছে একটু ভেবে দেখলে তার দিশে পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ ধ’রে র্ক্যাচর্কোচ শব্দ উঠছিল গোরুর গাড়ির, অবশেষে কাছাকাছি এসে হুড়মুড় করে ঢেলে দিলে এক বোঝা ইট। বাগানের ওপারে আধখানা তৈরি পাচিল । যতক্ষণ মন ছিল বাগান উপভোগে, ততক্ষণ এটা একেবারে খেয়ালের মধ্যেই আসে নি। তার পরে বেম্পতিবারে হাটে যাবার পথে মাছওয়ালা একটা বড়ো টুকরো রুইমাছ এনেছে ঝুড়িতে, হাত নেড়ে বললুম দরকার নেই। আমার বাগানঘেরা সকালবেলাতে এ কোনো চিহ্নই দিল না। বাট দিতে এসেছিল মেথর কাকরের রাস্তায় ধুলো উড়িয়ে, কখন এল কখন গেল সেটা ঠাহরের মধ্যে নেই। হঠাৎ এক সময়ে মনে হ’ল মধুপুর যেতে হ’লে মোটরে আসানসোল পর্যন্ত গিয়ে গাড়ি ধরাই সুবিধে। এরি মধ্যে নেপথ্যবাসী মন বলে উঠছে, হালসিঙ্কি, ফরওয়র্ড ব্লক, চেম্বরলেনের ছাতা। এক মুহূর্তের জন্যে চোখে পড়ল একটা কাক রান্নাঘরের আঁস্তাকুড় থেকে একটা কী আমিষের আবর্জন নিয়ে জামগাছের ডালে বসে চঞ্চু দিয়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করছে। > S|२ 6 \రిత్రివె