পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার পরেই চোখ ফিরল টবের দিকে, দেখলুম আরো দুটে৷ কুঁড়ি ধরেছে ক্যামেলিয়ার ডালে। এই সকাল বেলার ছবিতে আপন স্বভাব অনুসারে আমার সচেতন মন অনেক কিছু বাদ দিয়ে আলপনা কেটেছে। অবচেতন মন যা-তা অঁাকজোক পাড়ে কিন্তু রেখা-রঙের সমন্বয় ক’রে ছবি অঁাকে না । হাল আমলের কবি হয়তো পণ করেন অঁাকজোক কিছুই বাদ দেব না, তাতে যেখানে-সেখানে নানা আঁচড়ে ছবির ঐক্যকে যদি অস্পষ্ট করে দেয় সেও স্বীকার । এটা খানিকট বিজ্ঞানী বুদ্ধি। বিজ্ঞান আর্টের মতে শুচিবায়ুগ্রস্ত নয়— যা কিছু আছে তাদের সমান দাম দিয়ে মেনে নেবার দিকে তার ঝোক । আর্টের মধ্যে আছে সম্ভোগের দাবি, আর সায়ান্স সব-কিছুকে নির্বিচারে টেনে আনে। আধুনিক যুগের প্রকাশতত্ত্বে আছে এই দুয়ের মিল। তার নমুনা এই দুটি বইয়ের মধ্যে অনেক পাওয়া যায়। একটি যেমন “সংসার” কবিতায় ; বহু টুকরো নিয়ে এর মধ্যে যে একটা গুচ্ছ বেঁধেছে, তার মধ্যে ভাবনা বেদন স্মৃতি জড়িয়ে গেছে যেমন-তেমন ভঙ্গিতে । সাবধানতা নেই কিন্তু একটা মৰ্মকথা আছে। এর এই অসাবধান নৈপুণ্যে আঁজলা ভরে ওঠে অনেক কিছুতে। ওর পরের কবিতার নাম “আরোগ্য”, কত সহজ, ছোটো কয়েকট। টুকরোয় কী রকম অনলংকৃত সম্পূর্ণতা। “দরজা” কবিতা পড়ে দেখবার মতো। একটুখানি মনে পড়ে আমার নিজের কবিতা “স্বপ্ন’, সেইজন্তেই এর স্বাতন্ত্র্য এমন প্রবল ক’রে মনে লাগে, এ আর-এক যুগের ভাষা, আর-এক যুগের দৃষ্টি। এ সদর \9 е