পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাবী করে— যেমন জালিয়ানবাগ । মহাত্মা এই ভীষণ অপকৰ্ম্মকে চিরস্মরণীয় করবার চেষ্টা করেছিলেন । আমি তাতেও আপত্তি করেছিলুম। কিন্তু বৰ্ত্তমান ক্ষেত্রে যে ক্ষুদ্র উৎপাতটি ঘটেচে তাতে সাহিত্যিক machine gun দাগ। হয়েছে বটে কিন্তু যেহেতু তার gunজ czē machinerē আছে, এই কারণে তাতে কোন শোকবহ অপঘাত ঘটে নি— সুতরাং এই জিনিষটিকে স্মরণীয় এবং শোচনীয় করে তোলবার কোনও গুরুতর কারণ দেখিনে । এ পর্য্যন্ত আমি অনেক মার খেয়েছি কিন্তু মরি নি অতএব এই মারগুলিতে আমার গৌরব বৃদ্ধি করেচে— বাংলা সাহিত্যে আমি অভিমনু্য, অথচ অভিমনু্যর শেষ দশা আমার ঘটে নি। অতএব সপ্তরর্থীগুলিকে আমি সাদর অভিবাদন করে সজ্ঞানে বিদায় নিতে পারব। এই গেল আমার দিকের কথা । তোমার তরফে বলতে পারি তুমি জোর কলমের পরিচয় দিয়েছ বটে। জোর মানে গদাঘাত নয় । তোমার মারের মধ্যে সূক্ষ্মতা, ক্ষিপ্রতা এবং কলানৈপুণ্য আছে– তাই পড়ে খুসি হলুম। সাহিত্যে তোমার অজ্ঞাতবাসের পালা শেষ হয়েচে এবারে প্রকাশবান হও । অর্জনও গোড়ায় যখন তীর অভ্যাস করেছিলেন নিশ্চয়ই মাটির পুতুলের উপর শরবর্ষণ করে হাত পাকিয়েছিলেন– এবার তুমিও মাটির পুতুলটিকে যে রকম নাস্তানাবুদ করেচ তাই দেখে আমি তোমাকে খেলার ক্ষেত্র থেকে রণক্ষেত্রে নামতে অনুরোধ করচি। অনেকদিন পরে শিলাইদার মায়াজালে আত্মসমর্পণ করে ২৭