পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনিন্দিতা দেবী অমিয় চক্রবর্তীর মাতৃদেবী ; ‘বঙ্গনারী’ ছদ্মনামে, ভারতবর্ষের বিশেষত বাংলার নারীসমাজের অধিকার প্রতিষ্ঠাকল্পে ইনি একদা নিরস্তর লেখনী চালনা করিয়া প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছিলেন ; ১৯২১-২৩ সাল মধ্যে লিখিত এই প্রবন্ধগুলি তাহার ‘আগমনী’ গ্রন্থে ংকলিত হইয়াছিল। * অমিয় চক্রবর্তী ( জন্ম ১৯০১ ) তরুণ বয়সেই রবীন্দ্রনাথের বিশেষ নিকটবর্তী হইয়াছিলেন ও র্তাহার প্রীতিলাভ করিয়াছিলেন। রবীন্দ্রনাথের জীবনান্তকাল পর্যস্ত সে প্রীতি উভয়ের জীবনেই নানাভাবে ফলবতী হইয়াছিল। অল্প বয়সে জ্যেষ্ঠভ্রাতার অকাল মৃত্যুতে একান্ত শোকীর্ত হইয়া অমিয়চন্দ্র রবীন্দ্রনাথের প্ররোধবাক্যে সাত্বনালাভ করিয়াছিলেন, প্রথম চিঠি কয়খানিতে তাহার নিদর্শন আছে। সাক্ষাৎ ও চিঠিপত্রের সূত্রে এই যোগ বিস্তারিত হয়। ছাত্ৰদশ অতিক্রম করিবার পর ১৯২৬ সালে অমিয়চন্দ্র বিশ্বভারতীর কাজে যোগ দেন অধ্যাপক ও রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যসহকারীরূপে। রবীন্দ্রনাথের বিদেশভ্রমণেও অমিয়চন্দ্র একাধিকবার ভ্রমণসঙ্গী হইয়াছিলেন। ১৯৩৩ সালে অধ্যয়নস্থত্রে অমিয়চন্দ্র বিদেশযাত্রা করেন। শাস্তিনিকেতনে বাসকালে তিনি রবীন্দ্রনাথের কিরূপ একান্ত হইয়াছিলেন ৬৩ ও ৬৪ -সংখ্যক পত্র এই প্রসঙ্গে বিশেষভাবে দ্রষ্টব্য ; অংশত এখানে তাহা উদ্ধৃত করা গেল :

  • এতদিন পরে আজ তোমরা চলে গেলে কী রকম খারাপ লাগচে বলতে পারি নে। এ যেন মৃত্যুর বিচ্ছেদের মতোই কেবলি মনকে বৃথা আঘাত করচে। ••• তোমার সঙ্গে এমন একটা নিবিড় যোগ হয়ে গিয়েছিল যে এ বয়সে তার থেকে বিচ্ছিন্ন করা সহজ নয়।. তুমি আমার অনেক করেচ, অনেক ক্লাস্তি থেকে বাচিয়েছ— তোমার

\õዓ¢